যে খাবার গুলো হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারি
হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারি খাবারের কথা বললে আমাদের সামনে যেসব খাবারের কথা মনে আসে সেগুলো ছাড়াও কিছু খাবার রয়েছে। এসব খাবারের কথা তুলে ধরা হলো এ লেখায়।
শিম
শিমের এ স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কথা আগে মানুষ জানত না। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, শিমের আঁশ ও এর পটাসিয়াম হৃদযন্ত্রের (হার্ট) জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া শিমে রয়েছে প্রোটিন, যা মাংসের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে কাজ করে। এটি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতেও ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন প্রচুর শিম খেতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। খাবারের সঙ্গে তরকারি হিসেবে পরিমিত শিম খেলেও উপকার মিলবে।
আঙুরের জুস
আঙুরের জুসে রয়েছে হৃদপিণ্ডের জন্য বহু উপকারী উপাদান। তবে এটি শতভাগ আঙুরের জুস হতে হবে। অর্থাৎ স্বাদ বাড়ানোর জন্য বাড়তি চিনি কিংবা অন্য কোনো উপাদান মেশানো যাবে না।
ডিম
ডিম পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বহুদিন ধরেই পরিচিত। তবে এর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, ডিম হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং উপকারী। এতে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, ১৩ ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। আর একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে তাতে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যায় ১২ শতাংশ পর্যন্ত।
পেঁপে
বিভিন্ন শাকসবজি খেলে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকা যায়। আর এ তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে পেঁপে। গবেষকরা জানান, পেঁপেতে রয়েছে লাইকোপেন। এটি হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। টমেটোর তুলনায় পেঁপেতে রয়েছে প্রায় আড়াই গুণ বেশি লাইকোপেন।
ডার্ক চকোলেট
অনেকেই চকোলেটকে ‘শত্রু’ হিসেবে বিবেচনা করেন। কোকোয়া বার দিয়ে তৈরি ডার্ক চকোলেট টাইপ টু ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় জানা যায়, ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পর রক্তচাপ বেশ কমে যায়। আর রক্তচাপ কমলে হৃদরোগও কমে যায়। গবেষকরা বলেন, ডার্ক চকোলেট প্রতিদিন এক থেকে দুই আউন্স পরিমাণ খেলেই উপকার পাওয়া যাবে।