দিনের শুরুটা এই জল দিয়ে করলে, পাবেন ১০ টি উপকার! অবশ্যই বিস্তারিত জেনেনিন
দেহকে সচল রাখতে জলের গুরুত্বকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। তাই তো প্রতিদিন কম করে ৩-৪ লিটার গ্লাস জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। আসলে এমনটা করলে শরীরের ভেতরে জলের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে দেহের সার্বিক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। কিন্তু যদি প্রতিদিন গরম জল খাওয়া শুরু করেন, তাহলে মেলে আরও অনেক বেশি উপকার। যেমন ধরুন…
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে গরম জল খেতে থাকলে একদিকে যেমন দেহের ভেতরে জলের ঘাটতি দূর হয়, তেমনি শরীরের ভিতরে নানা পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে ড্রাই স্কিনের সমস্যা তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে ত্বকের ভেতরে রক্ত প্রবাহের মাত্রা বাড়তে শুরু করায় স্কিন টোনের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো। ফলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ফর্সা ত্বকের অধিকারী হয়ে ওঠার স্বপ্নও পূরণ হয়।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, গরম জল খাওয়া শুরু করলে প্রতিটি হেয়ার সেলের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে হেয়ার ফলের মাত্রা তো কমেই, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
ব্রণের মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ কমে
শরীরের ভেতরে ময়লা যত কম জমবে, তত ব্রণের বাড়বাড়ন্তও হ্রাস পাবে।। আর গরম জল যে টক্সিনের বিরোধী, তা নিশ্চয় আর জানতে বাকি নেই! তাই ব্রণের প্রকোপ কমাতে সকাল বিকাল গরম জল পান শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই ব্রণ এবং পিম্পলের মতো ত্বকের রোগ একেবারে সেরে যাবে।
নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষমতা বাড়ে
গরম জল খাওয়া মাত্র সারা শরীরে এমনকি মস্তিষ্কেও রক্তচলাচল বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নার্ভের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ব্রেন পাওয়ার বেড়ে যায়।
দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে
অতিরিক্ত ওজনের কারণে চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে আজ থেকেই গরম জল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে নাতে। আসলে গরম জল খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার সুযোগই থাকে না। শুধু তাই নয়, গরম জল অ্যাডিপোস টিস্যু বা ফ্যাটেদের ভেঙে ফেলেও ওজন হ্রাসে সাহায্য করে।
শরীরের বয়স কমে
গরম জল স্কিন সেলের ক্ষত সারিয়ে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে ত্বক টান টান হয়ে ওঠে এবং বলিরেখাও হ্রাস পায়। ফলে বয়সের কোনও ছাপই ত্বকের উপর পরতে পারে না। প্রসঙ্গত, শরীরে টক্সিনের মাত্রা যত কমে, তত শরীর এবং ত্বকের বয়সও হ্রাস পায়। আর গরম জল যে এ কাজটা ভালভাবেই করে তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না!
ঠাণ্ডা লাগা এবং গলা ব্যথার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে
এই ধরনের শারীরিক সমস্যার চিকিৎসায় গরম জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। গরম জল এক্ষেত্রে রেসপিরেটারি ট্রাক্টকে পরিষ্কার করে ঠাণ্ডা লাগা এবং গলার অস্বস্তি কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বন্ধ নাকও পুনরায় সচল হয়ে যায়।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
চুলের গোড়ায় থাকা নার্ভদের সচলতা বৃদ্ধি করতে গরম জল বিশেষভাবে সাহায্য করে। ফলে গরম জল খাওয়া মাত্র স্কাল্পে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। ফলে অক্সিজেন সমৃদ্ধি রক্ত চুলের গোড়ায় পৌঁছে গিয়ে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
শরীর থেকে টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে
যখন আমাদের রক্তে ক্ষতিকর টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে তখন কিডনিকে ওভার টাইম করে শরীর থেকে সেই টক্সিক উপাদনদের বার করে দিতে হয়। না হলেও হাজারো রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রেও গরম জল নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। গরম জল খাওয়া মাত্র শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ঘাম হতে শুরু হয়। আর ঘামের মাধ্য়মে টক্সিনগুলো বেরিয়ে যেতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, গরম জলে যদি অল্প করে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে এক্ষেত্রে আরও উপকার পাওয়া যায়।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, খাবার খাওয়ার পর ঠাণ্ডা জল খেলে পাকস্থলীর ভিতরের দেওয়ালে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে ইন্টেস্টিনাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো খাবার পর পর ঠাণ্ডা জলের পরিবর্তে হালকা গরম জল খাওয়া পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে ঠাণ্ডা জলের কারণে সাধারণত যে যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সেগুলো গরম জল খেলে একেবারেই হয় না। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার কোনও সুযোগই পায় না।