Recipe: লাগবে না বাসমতি চাল, সাধারণ চাল দিয়েই তৈরী করুন ‘এগ বিরিয়ানি’, পেট ভরবে আর পকেটও বাঁচবে
মাছ বা মাংসের বিরিয়ানি তো কমবেশি সবাই খেয়েছেন। তবে কখনো কি ডিম বিরিয়ানি খেয়েছেন? এটি খুবই সুস্বাদু এক পদ। চাইলে খুব সহজেই তৈরি করা যায় এই বিরিয়ানি। রইলো রেসিপি-
উপকরণ
১. ডিম ৬টি (সেদ্ধ করে অল্প লাল মরিচ গুঁড়া মাখিয়ে অল্প তেলে লাল করে ভেজে নেওয়া)
২. পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
৩. পেঁয়াজ বাটা ৩ টেবিল চামচ
৪. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
৫. রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
৬. হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ
৭. জিরা বাটা ১ চা চামচ
৮. দারুচিনি ২টি
৯. এলাচ ৪টি
১০. তেজপাতা ২টি
১১. গরম মসলা পাউডার আধা চা চামচ
১২. টকদই আধা কাপ
১৩. কাঁচা মরিচ বাটা ২ চা চামচ
১৪. পোস্ত দানা, কিসমিস ৭-৮ টি
১৫. জয়ত্রি, জয়ফল বাটা মিলে ২ চা চামচ
১৬. লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
১৭. তেল আধা কাপ
১৮. ঘি ১ টেবিল চামচ
১৯. লবণ স্বাদমতো ও
২০. পেঁয়াজ বেরেস্তা সামান্য।
পদ্ধতি
প্যানে তেল গরম করে দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ লাল করে ভাজা হলে এতে হলুদ গুঁড়া, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা জিরা বাটা, টকদই, লবণ, পোস্ত দানা, কিসমিস, জয়ত্রি, জায়ফল বাটা, গরম মসলা পাউডার, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ দিয়ে মসলা খুব ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
এখন ভেজে রাখা ডিম এই মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নিন, সঙ্গে আধা কাপ গরম জল দিয়ে দিন। নাড়াচাড়া করে রান্না করুন। উপরে কয়েকটা কাঁচা মরিচ ফালি করে দিন। নামানোর আগে পেঁয়াজ বেরেস্তা ও ঘি ছিটিয়ে নিন।
এবার অন্য একটি পাত্রে চালগুলোকে সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিন। চাল বেশি সেদ্ধ করবেন না। বেশি সেদ্ধ হলে বিরিয়ানি ঝরঝরে হবে না। একটি চ্যাপ্টা হাড়িতে প্রথমে কিছু ভাত ঢালুন। এরপর লেবুর পিস ছড়িয়ে দিন।
এর উপর রান্না করা ডিম এর কোরমা আর ঝোল ছড়িয়ে দিন। ঝোলের সঙ্গে বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন। আবার রান্না করা ভাত দিয়ে তার উপর অল্প করে রং ছিটিয়ে দিন। কাঁচা মরিচ আর বেরেস্তা ছিটিয়ে দিন।
একটি হাড়িতে গরম জল দিয়ে তার উপর বিরিয়ানির হাড়ি দিয়ে রাখতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন ভাপ যেন কোনোভাবে বের না হয়। ময়দার ডো তৈরি করে হাড়ির মুখ বন্ধ করে দিতে পারেন। ২০ মিনিট পরে তুলে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ডিম বিরিয়ানি।