কিশমিশ যেভাবে শিশুর মনোযোগ ও শেখার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, জানুন বিস্তারিত
সামান্য কিশমিশেও যে এত গুণ রয়েছে তা আগে জানা যায়নি। সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন, শিশু যদি কিশমিশ খেতে আগ্রহী থাকে তাহলে তার মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা বেশি হয়, যা পড়াশোনার ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটাতে সহায়ক। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে এএনআই।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের গবেষকরা এ বিষয়ে গবেষণা করে জানতে পেরেছেন। তারা জানান, শিশুর মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা ও শেখার সক্ষমতা বাড়ে কিশমিশ খেলে। আর যাদের এ ক্ষেত্রে আগ্রহী দেখা যায়, তাদের যদি এ আগ্রহ বজায় থাকে তাহলে পরবর্তীতে অন্য শিশুদের তুলনায় শিক্ষাজীবনে ভালো ফলাফল দেখা যায়।
সাধারণ এক পরীক্ষাতেই বিষয়টি জানতে পেরেছেন গবেষকরা। তারা জানান, আট বছর বয়সী শিশুদের মাঝে গবেষণায় এ ফলাফল পাওয়া গেছে।
গবেষকরা মূলত শিশুদের কিশমিশ খাওয়ার আগ্রহ পরীক্ষা করেন। এরপর দীর্ঘদিন তাদের শিক্ষা ও মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। গবেষণার জন্য ২০ মাস বয়সী শিশুদের হাতের নাগালে কিশমিশ রাখা হয় এবং তাদের খেতে উৎসাহিত করা হয়।
কিশমিশের প্রতি আগ্রহী শিশুদের সাত বছর পর আবার পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। এতে দেখা যায়, যেসব শিশুর কিশমিশ খাওয়ায় আগ্রহ বেশি ছিল এবং তারা তা ধরে রেখেছে, তাদের মনোযোগের ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় বেশি।
এ গবেষণাপত্রটির সিনিয়র লেখক ডায়েটার ওলক জানান, সহজ পাঁচ মিনিটের পর্যবেক্ষণে কিশমিশের প্রতি আগ্রহ থেকেই শিশুর মনোযোগের বিষয়টি নির্ণয় করা যায়।
গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে পেডিয়াট্রিকস জার্নালে।