সকালে উঠে খালি পেটে এক কোয়া রসুন! এসব অসুখ ঘেঁষবে না কাছে
সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন। স্বাস্থ্যবিদদের দাওয়াই, এতেই নাকি ভ্যানিশ অর্ধেক রোগবালাই! প্রতি দিনের অনিয়ম, যখন তখন ডায়েট ভাঙার কুপ্রভাব অনায়াসেই নাকি ঢেকে দিতে পারে এই সব্জি।
কিন্তু সত্যিই কি তাই? এত সব্জি থাকতে খালিপেটে রসুনের নিদানই বা কেন? ব্যাখ্যা করলেন পুষ্টিবিদ অন্তরা মজুমদার। তাঁর মতে, ‘‘রসুন খাওয়ার এই প্রচলিত ধারণা কিন্তু মিথ নয় মোটেও। প্রাকৃতিক ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ঠাসা এই সব্জির অনেক কার্যকরী দিক রয়েছে। খালি পেটে, অর্থাৎ অনেকটা সময় পেট খালি থাকার পর এটি খেলে এর রস সহজে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে পারে বেশি পরিমাণে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মেটাবলিক রেটও একটু বেশি থাকে। তাই খালিপেটে এই সব্জি খেলে উপকার মেলে অনেক।’’
কেমন সে সব উপকার? রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে হার্টের অসুখ প্রতিরোধ— সবেতেই কি রসুনের অবাধ উপকার? রইল সে সবের হদিশ।
1.অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ঠাসা এই সব্জি রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে। রক্তে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে রসুন।
2.শরীরকে ডিটক্সিফাই করার কাজে ওস্তাদ রসুন। সকালে খালিপেটে রসুনের কোয়া খেলে সারা রাত ধরে চলা বিপাকক্রিয়ার কাজ যেমন উন্নত হয়, তেমনই শরীরের দূষিত টক্সিনও মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে।
3.ক্রনিক ঠান্ডা লাগার অসুখ যাঁদের রয়েছে, খালিপেটে এক কোয়া রসুন তাঁদের জন্য খুব উপকারী। একটানা দু’সপ্তাহ সকালে রসুন খেলে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অনেকটা কমে।
4.হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে রসুন বিশেষ কার্যকর। হৃদস্পন্দনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে ও হৃদপেশীর দেওয়ালে চাপ কমাতে কাজে আসে এই সব্জি।
5.রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে রসুন। কমায় রক্তবাহ নালীর উপর রক্তের চাপও। তাই উচ্চ রক্তচাপের অসুখে ভুগছেন এমন রোগীদের ডায়েটে থাকুক এই সব্জি।
6.যকৃত ও মূত্রাশয়কে নিজের কাজ করতে সাহায্য করে রসুন। এ ছাড়া পেটের নানা গোলমাল ঠেকাতে, হজমের সমস্যা মেটাতেও রসুন বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
7.কিছু ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ— যেমন ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, হুপিং কাফ ইত্যাদি প্রতিরোধে এই সব্জির ভূমিকা অনেক।
8.স্নায়বিক চাপ কমিয়ে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম এই সব্জি।