লাইফস্টাইল

ফুসফুস ভালো রাখতে নিয়মিত খান এই খাবারগুলো!

ফুসফুস জনিত রোগ বাড়ছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে এটি দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুরও একটি প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়। অথচ ব্যক্তি ও সমাজ পর্যায়ে কিছু সতর্কতা ও বিধিনিষেধ অবলম্বন করলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার বার ফুসফুসের ব্যবহার করি। ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ হয় যেমন-ক্যান্সার, নিউমোনিয়া, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস ও অ্যাজমা শরীরের অক্সিজেন শোষণে সীমাবদ্ধতা তৈরি করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুসফুস ভালো রাখতে মেনে চলা উচিত তাজা খাবার। মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, শাক, বাঁধাকপি, বেল পেপার, পেয়ারা, কালো বিন, ডাল, স্যালমন ও বাদামি আলু ফুসফুসের জন্য ভালো খাবার।

ক্যারোটিন: ক্যারোটিন পরিবারের বিটা-ক্রিপ্টোজানথিন এবং লিউটেইন ও জিজানথিনের সংমিশ্রণ ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। বিটা-ক্রিপ্টোজানথিন সবচেয়ে বেশি রয়েছে মিষ্টি কুমড়া ও পেঁপেতে। শরীরে লিউটেইন ও জিজানথিনের জোগান দিতে খাবারে রাখুন সবুজ শাকসবজি।

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি: ঠাণ্ডা লাগলে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত। গবেষণায় আরো পাওয়া গেছে, ফুসফুসের ইনফেকশন ও নিউমোনিয়াতেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দারুণ উপাদেয়। জার্নাল অব রয়েল সোসাইটি অব মেডিসিনে ২০০৭ সালে করা পাঁচটি গবেষণার রিভিউতে বলা হয়, তিনটি গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে— ভিটামিন সি নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক। বাকি দুটি গবেষণায় পাওয়া গেছে ভিটামিন সি’র থেরাপিউটিক প্রভাব সম্পর্কিত তথ্য। ভিটামিন সি’র উৎস হিসেবে বাছাই করতে পারেন কমলা, হলুদ বেল পেপার ও পেয়ারা।

ফলেট: প্রচুর পরিমাণে ফলেট গ্রহণ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস, এমফিসেমা, ব্রঙ্কাইটিজ ও অ্যাজমা থেকে ফুসফুসকে সুরক্ষিত রাখে। এশিয়া-প্যাসিফিক জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত ২০১০ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ ফলেটজাতীয় খাবার কম খাওয়া। ডাল ও কালো বিনে রয়েছে ফলেট, যা ফুসফুসের কার্যপ্রণালিকে সঠিকভাবে অব্যাহত রাখে।

ভিটামিন বি৬: ফুসফুসকে সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি এটি ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ২০১০ সালে জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, ৩ লাখ ৮৫ হাজার ধূমপায়ী ও অধূমপায়ীর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে, যাদের রক্তে ভিটামিন বি-৬ এর মাত্রা বেশি, তাদের ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

Back to top button