লেটুন পাতার অসাধারণ কিছু পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেনিন!
বার্গারের সঙ্গে অথবা সালাদ বানিয়ে লেটুস পাতা খাওয়া হয়। এই পাতা কিন্তু পুষ্টিগুণে ঠাসা। ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ফলেট ও পটাসিয়াম মেলে লেটুস থেকে। জেনে নিন লেটুস পাতা খাওয়ার উপকারিতা।
লেটুস পাতা আমরা সবাই প্রায় চিনি। ইতিহাসবিদরা অনেকে বলেন, এই সবুজ পাতাটির চাষ প্রথম মিশরীয়রা শুরু করেছিল। তারা এই পাতাটি শাক হিসেবে চাষ করতেন। এমনকি এই পাতার বীজ থেকে তেলও বের করা হত। যদিও পরে এই লেটুস পাতার চাষ গ্রীক ও রোমানরা শুরু করে।
লেটুস পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এই পাতার মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি-৬, আয়রন, পটাসিয়াম ইত্যাদি।
লেটুস পাতা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। কারণ এর মধ্যে বিটা ক্যারোটিন ও লুটিনের মত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। এই ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলি ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি হ্রাস করে।
লেটুস পাতায় কম পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তবুও নিয়মিত ক্যালসিয়াম পেতে পারেন লেটুস থেকে। হাড় এবং দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই। অন্যান্য ক্যালসিয়ামপূর্ণ খাবারের সঙ্গে লেটুস মেশাতে পারেন।
সব ধরনের সবুজ পাতার সবজিতে কিছু না কিছু আয়রন রয়েছে। নারীদের ঋতু চলাকালে যে রক্ত বের হয়ে যায়, সে সময় আয়রনের প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী অবস্থাতেও আয়রনের প্রয়োজন পড়ে। তাই খাবারের সঙ্গে পছন্দমতো উপায়ে লেটুস ব্যবহার করুন।
লেটুস পাতা ঘুমোতে সাহায্য করে। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে লেটুস পাতা খান তাহলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়বেন। কারণ, এর মধ্যে ল্যাকট্যাক্যারিয়াম নামক একটি উপাদান থাকে ঘুমোতে সাহায্য করে।