রান্না ছাড়াও জিরের অন্যান্য ব্যবহার, জেনেনিন একঝলকে
খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি জিরা শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
এই অঞ্চলের মসলা নিয়ে নানান কথা প্রতিষ্ঠিত আছে। এরমধ্যে প্রচলিত হল জিরা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, শরীরের নানান উপকারে আসে। পাশাপাশি ওজনও কমায়।
প্রচলিত এই ধারণাকে আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞান সমর্থনও করে।
পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জিরার বিভিন্ন উপকারী দিক এখানে দেওয়া হল।
জিরার পুষ্টিগুণ
– জিরা পাচক রস বাড়িয়ে হজম পদ্ধতিকে সক্রিয় করে তোলে।
– জিরার বীজ উচ্চ লৌহ সমৃদ্ধ। এক চা-চামচ জিরাতে ১.৪ মি.গ্রা. লৌহ থাকে।
– ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
– এটা শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে।
– শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে জিরা।
– সর্বপরি, জিরা চর্বি কমাতে এবং ওজন কমানোর সহায়ক।
ওজন নিয়ন্ত্রণে জিরা
জিরা বীজ বা জিরা-পানি পান করে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ওজন কমানো যায়। তবে পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন।
জিরা বিপাকের হার বাড়িয়ে এবং হজম উন্নত করে দ্রুত ক্যালরি খরচ করতে সাহায্য করে। হজমক্রিয়া উন্নত হলে এবং বিপাক দ্রুত হলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমে। তাই ওজন কমাতে জিরা খেতে পারেন।
পদ্ধতি
জিরা গ্রহণ করে ওজন কমানোর বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। যেমন-
জিরা বীজ: দুই টেবিল-চামচ জিরা-বীজ পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা বা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে বীজগুলো সিদ্ধ করে পানীয় তৈরি করুন। এতে লেবুর রস যোগ করে সকালে খালি পেটে পান করুন। দুই সপ্তাহ পান করলেই এর ফলাফল পাওয়া যাবে।
জিরা ও দই: এক টেবিল-চামচ জিরারগুঁড়া এক টেবিল-চামচ দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাবারের পরে ১৫ দিন ধরে খান, ওজন কমবে।
জিরার গুঁড়া: এক কাপ পানি ফুটিয়ে নিন এবং এতে জিরার গুঁড়া যোগ করুন। স্বাদ বাড়াতে সামান্য লবণ দিতে পারেন। ২০ দিন ধরে পান করুন এই পানীয়।