দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করবে এই ৭টি মশলা, দেখেনিন
‘রান্নাঘর থেকেই ওজন কমানোর যাত্রা শুরু হোক ’-এ কথা অনেকেরই জানা! ওজন কমাতে হলে প্রথমেই খাদ্যতালিকা বদলাতে হবে। পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে পাতে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও সুষম খাদ্যের মাধ্যমেই দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব।
তবে রান্নাঘরের কিছু মসলা আছে যেগুলো ওজন কমানোর দাওয়াই হিসেবে বেশ প্রচলিত। বিশেষ করে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ওজন কমানোর দাওয়াই হিসেবে বেশ কিছু মসলার উপকারিতা সম্পর্কে বলা আছে। জেনে নিন তেমনই ৭টি মসলার হদিস-
হলুদ : হলুদে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য। এটি প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। এই উপাদানটি পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে ও বিপাক ক্রিয়া বাড়ায়। আপনি খাদ্যতালিকায় হলুদ রাখতে পারেন তরকারি, চা বা হলুদ পানীয়তে।
দারুচিনি : দারুচিনির স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে। প্রতিদিন সকালে দারুচিনি ভেজানো জল খেলে বিপাকীয় হার বাড়ে। এর ফলে দ্রুত ওজন দ্রুত কমে। দারুচিনি চা নিয়মিত পান করলে অনেক উপকার পাবেন।
মৌরি বীজ : মৌরি বীজ সাধারণত মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে অনেকেই খেয়ে থাকেন। এটি হজমশক্তিও বাড়ায়। এমনকি মৌরি বীজ ক্ষুধা কমাতেও সাহায্য করে। তাই বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। ফলে ওজন দ্রুত কমে।এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাশাপাশি ভিটামিন এ, সি ও ডি আছে। মৌরি বীজ ভেজানো জল, চা ও তরকারিতে দিয়েও খেতে পারেন মসলাটি।
জিরা : জিরা জল শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। রাতে এক চা চামচ জিরা ভিজিয়ে রেখে সকালে ওই জল খেলে ওজন দ্রুত কমে। এছাড়াও আপনি জিরা জলেতে ফুটিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন। আর তরকারিতে জিরা না দিলে তো চলেই না।
মেথি বীজ : মেথির বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। মেথি অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে বিরত রাখে। ফলে ওজন দ্রুত কমতে থাকে। তাই খাদ্যতালিকায় মেথি রাখতে পারেন। মেথি ভেজানো জল শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
এলাচ : রাতে গরম জলেতে এলাচ ফুটিয়ে খেলে বিপাকীয় হার বাড়ে। এলাচে থাকে মেলাটোনিন, যা বিপাকীয় হার বাড়ায়। বিপাকীয় হার বাড়লে শরীরের চর্বি দ্রুত কমতে থাকে। স্থূলতার চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী দাওয়াই হলো এলাচ।
কালো মরিচ : ওজন কমাতে সাহায্য করে কালো মরিচ। এর বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। আপনার গ্রিন টি’তে নিয়মিত এক চিমটি কালো মরিচ যোগ করে খেতে পারেন। দিনে দুই-তিনবার পান করলে ভালো ফল পাবেন। কালো মরিচে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলাতে সাহায্য করে।