লাইফস্টাইল

পুষ্টিকর হলেও যেসব খাবারে গ্যাসের উদ্রেক ঘটে, জেনেনিন বিস্তারিত

বহু খাবার আছে যা দারুণ পুষ্টিকর। দেহের নানা কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে এদের ভূমিকা অনন্য। কিন্তু দেহ এসব খাবারের বহু খাদ্য উপাদান ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারে না। অনেক ভালো খাবার দেহে গ্যাস উৎপন্নের মতো মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। অবশ্য এটি আরো বাড়িয়ে দিতে পারে ধূমপান, চিউয়িং গাম ইত্যাদি খাওয়াসহ নানা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস।

এখানে দেখে নিন অনেক পরিচিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার যা গ্যাস উৎপন্ন করতে পারে।

১. এমন অনেক সবজি আছে যা গ্যাসের জন্যে দায়ী। এসব সবজিত সাধারণত র‍্যাফিনোজ এবং ফ্রুকটোজের মতো খাদ্য উপাদান থাকে। এদের মধ্যে সবুজ ডাঁটা, ব্রোকোলি, ব্রাসেল স্প্রাউট, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পেঁয়াজ, শিম এবং মিষ্টি আলুতে গ্যাস সৃষ্টিকারী উপাদান রয়েছে।

২. ভিটামিনে পূর্ণ ফলেও এ সমস্যা হতে পারে। কারণ এসব ফলে ফ্রুকটোজ ও ফাইবার রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই ভালো। আপেল, অ্যাপ্রিকট, আম, কমলা, পিচ, নাশপাতি, বরই এবং তরমুজ খেলে অনেকের গ্যাস হবে। এ ছাড়া শুকনো ফলের মধ্যে এ তালিকায় রয়েছে অ্যাপ্রিকট, আলুবোখারা এবং কিশমিশ।

৩. দুগ্ধজাত পণ্যে অনেকের গ্যাস উৎপন্ন হয়। বয়সের সঙ্গে দেহের এনজাইম ল্যাকটেজ উৎপাদনের পরিমাণ কমে আসে। তাই দুগ্ধজাত পণ্যের উপাদান অনেক সময় গ্যাস উৎপন্ন করে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে বাটারমিল্ক, ক্রিম চিজ, ঘন ক্রিম, আইস ক্রিম, দুধ, প্রক্রিয়াজাত খাবার যাতে দুধ রয়েছে।

৪. শস্য দানায় প্রস্তু খাবার মূল খাবারের অংশ। এগুলো পুষ্টিকর। কিন্তু র‍্যাফিনোজের মতো উপাদান থাকার কারণে গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে বার্কলে, ফ্লাক্স সিড, রাইয়ের আদা এবং গমের আটা বা ময়দা।

৫. কিছু বেজারেজে ফ্রুকটোজ, সরবাইটল অথবা কার্বোনেশন থাকে। তাই গ্যাস উৎপন্নে এদেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এসব পানীয়ের মধ্যে আছে বিয়ার, ফলের জুস, রেগুলার ও ডায়েট সোডা।

৬. চিনিমুক্ত কিছু দেখলেই আমরা যথেষ্ট নিশ্চিন্ত হয়ে উঠি। অথচ এগুলোতে সরবাইটল থাকে যা অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা গাঁজন হতে পারে। এতে গ্যাস উৎপন্ন হয়। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সুগার ফ্রি গাম, ক্যান্ডি এবং স্ন্যাক্স।

Back to top button