অতিরিক্ত টিভি দেখলে এসব ক্ষতি হয় শিশুদের, জেনেনিন
কর্মব্যস্ততার চাপে বেশির ভাগ বাবা-মায়েরই সন্তানকে তেমন সময় দিতে পারেন না। একান্নবর্তী পরিবারের সংখ্যাও এখন ‘হাতে গোনা’। ফলে শিশুকে সময় দেওয়ার মতো মানুষের অভাব। তাই শিশুর খেলাধুলার তেমন সুযোগ থাকে না। কারণ তাকে মাঠে বা পার্কে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই।
ফলে বদ্ধ ঘরে স্মার্টফোন, টিভি, কম্পিউটারের সঙ্গেই কাটে এখনকার বেশির ভাগ শিশুর শৈশব। তাই বর্তমানে স্মার্টফোন, টিভি আর কম্পিউটারের সঙ্গে সময় কাটাতেই বাচ্চারা বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক! অতিরিক্ত টিভি দেখলে শিশুদের কী কী ক্ষতি হয় তা জেনে নিন।
১. ওজন বৃদ্ধি পায়
দিনের বেশির ভাগ সময় একভাবে বসে টেলিভিশন থাকলে শিশুর ওজন বাড়তে পারে। এর ফলে, বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।
২. পড়াশোনায় ক্ষতি হয়
টিভি দেখার জন্য অনেক সময় ব্যয় করার ফলে অন্যান্য কাজে অংশগ্রহণের অভাব হয়। বাচ্চারা মাঝে মাঝে টিভির দেখার জন্য স্কুলের হোমওয়ার্ক করা এড়িয়ে যায়। ফলে, তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়।
৩. বাস্তবতাকে প্রভাবিত করে
টিভিতে বাস্তবতাকে অতিরঞ্জিত করে সরবরাহ করা হয়। অতিরিক্ত টিভি দেখতে দেখতে একজন শিশু বাস্তবকে ভুলতে বসে। সে তার চারপাশের পরিবেশকে টিভির মতোই মনে করে। ফলে তার বাস্তবটা বুঝতে সমস্যা হয়।
৪. হার্ট ও চোখের সমস্যা দেখা দেয়
যেসব শিশু খুব বেশি টিভি দেখে তাদের চোখ ও হার্টের সমস্যা বাড়ে। অল্প দিনেই চোখে চশমা হয়ে যায়।
৫. নেতিবাচক আচরণ দেখা দেয়
গবেষণা অনুসারে, অত্যধিক টিভি দেখা মস্তিষ্কের কাঠামোর পরিবর্তন করতে পারে এবং নেতিবাচক আচরণ দেখা যায়। এর ফলে, শিশুর মনে পরিবর্তন আসে। উপরিউক্ত কারণগুলো থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে, শিশুদের টিভি দেখা যেমন প্রয়োজনীয় তেমনই অতিরিক্ত টিভি দেখা অত্যন্ত খারাপ। তাই পরিবারের বড়দের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যে, বাচ্চারা যেন অতিরিক্ত টিভি না দেখে। পাশাপাশি এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, বাচ্চারা যখন টিভি দেখবে তখন যাতে তারা শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান বা শিশু সংক্রান্ত কোনো অনুষ্ঠানই দেখে।