পিঠে ব্যথায় কুপোকাত, জেনে নিন মুক্তি পেতে কি করবেন
ঘুম ভাঙার পর থেকেই শুরু হয় কর্মব্যস্ততা। বাড়ি সামলে অফিসে গিয়ে শুরু হয় কাজ। কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘক্ষণ চেয়ারে বসেই নিশ্চয়ই কাজ করেন আপনি? পিঠ টান করে বা ঝুঁকেই সময় কেটে যায় অনেকটা।
বর্তমানে ব্যাক পেইনে অনেকেই ভুগে থাকেন। এর থেকে মুক্তি পেতে নিশ্চয়ই পেইন কিলারও খাচ্ছেন? তাতে সাময়িক ব্যথা কমলেও আবার হয়। কিন্তু জানেন কি শুধু ওষুধই নয়, এই পরিস্থিতি থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে কিছু ঘরোয়া কৌশল।
পিঠে ব্যথা কমাতে চাইলে রাতে ঘুমোনোর সময় কিছু নিয়ম আপনাকে মানতেই হবে। প্রথমত খেয়াল রাখতে হবে ছয় থেকে সাত ঘণ্টার কম ঘুম যাতে না হয়। তাই স্মার্টফোন দূরে সরিয়ে প্রতি রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান। ঘুমের সময় পারলে চিত হয়ে শোওয়া অভ্যাস করুন। পাশ ফিরে শুতেও পারেন। তবে সেক্ষেত্রে দু’টি পায়ের মাঝে বালিশ ব্যবহার করুন।
আপনি কি ঘুম থেকে ওঠেই কোনোক্রমে তৈরি হয়ে অফিসের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়েন? এই অভ্যাস থাকলে আপনার পিঠের ব্যথা কমা খুবই কঠিন। সুস্থ থাকতে চাইলে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠতে হবে। শরীরচর্চায় মন দিন। নিয়মিত স্ট্রেচিংয়ে দেখবেন আপনার ব্যথা অনেকটা নিরাময় হয়েছে।
ব্যায়াম করে অফিসে পৌঁছালেন ঠিকই। সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য অফিসে গিয়েও কিছু নিয়ম আপনাকে মেনে চলতেই হবে। কাজের চাপ যতই থাকুক না কেন একভাবে চেয়ারে বসে কাজ ! মাঝে মাঝে অফিসের ভিতরে হাঁটুন। পারলে সিঁড়ি দিয়ে বারবার ওঠানামা করুন। চেয়ারে বসার সময় যতটা সম্ভব সোজা হয়ে থাকার চেষ্টা করুন।
সারাদিনের ক্লান্তির পর বাড়ি ফিরে আর বিশেষ কিছুই করতে মন চায় না তা ঠিক। কিন্তু যন্ত্রণা কি আর নিত্যদিন সহ্য করা যায়? তাই সুস্থ হতে একটু কষ্ট করে পিঠে রাতে বরফের সেঁক দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের আইস প্যাক ব্যবহার আপনার যন্ত্রণায় আরাম দেবেই।
পারলে দিনে দু-তিনবারও আইস প্যাক ব্যবহার করুন। পিঠে ব্যথার সমস্যা থাকলে জুতা কেনার আগে দু’বার ভাবুন। হিল তোলা জুতো এই সময় ভুলেও ব্যবহার করবেন না। পরিবর্তে ফ্ল্যাট জুতো পরেই হাঁটাচলা করার অভ্যাস তৈরি করুন।