লাইফস্টাইল

Health: সুস্থভাবে বাঁচতে এড়িয়ে চলুন ভাজাপোড়া খাবার, ভালো থাকবেন আপনি ও আপনার পরিবার

বাঙালির বিকালের চায়ের সাথে ‘টা’ না হলে একদমই চলে না। আর এই টা হচ্ছে পাড়ার দোকানের ছোলা ভুনা, পুরি, সিঙ্গারা, আলুর চপ, সমুচা, বেগুনি, পিঁয়াজি, পাকোড়া। ডুবো তেলে ভাজা এসব খেতে মজা লাগলেও অধিকাংশ রেঁস্তোরায় নোংরা পরিবেশে সস্তা পাম অয়েলে এগুলো ভাজা হয়। তাই খেলেই চলবে না, করোনাকালে খেয়াল রাখতে হবে স্বাস্থ্যের ক্ষয়ক্ষতির দিকেও। তেলের কারণে কলেস্টেরল বেড়ে গেলে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যার সূত্রপাত হয়, যার কারণে পরবর্তীতে বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।

অন্যদিকে, ভাজাপোড়া খাবারে ক্যালরির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ফলে খাবারের বাইরের দিকের অংশ আর্দ্রতা হারায় আর ভেতরে শুষে নেয় তেল। ভাজা খাবারের তেলে থাকে ট্রান্স ফ্যাট, যা শরীরে এলডিএলের মাত্রা বাড়ায়। এলডিএল বা ‘লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন’ যা খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে চিহ্নিত। যে কারণে ধমনীতে বাধা তৈরি করে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি বিষয় প্রমাণিত যে, অতিরিক্ত ভাজা খাবার খেলে রক্তচাপও বৃদ্ধি পায়, যা হৃদরোগ হওয়ার আরেক কারণ। তাছাড়া ভাজা খাবার ওজনও বাড়ায়। তাই ভাজা খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

অনেকেই বলছেন অতিমারির দীর্ঘ সময়টাতে বাড়ির খাবারে একঘেয়েমি চলে আসাতে এসব ভাজাপোড়া খাচ্ছন। কিন্তু বাড়ি বসে করোনা থেকে নিজেকে বাঁচানোর পরিবর্তে আরো ক্ষতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন আপনি। তেলে ভাজা খাবারে থাকে এক ধরনের অণু, যা অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন এন্ড প্রডাক্ট (এজিই) নামে পরিচিত। এই এজিই শরীরে ঢুকে কোষে প্রদাহ তৈরি করতে পারে। যার কারণে প্রতিরোধশক্তি কমতে শুরু করে। তাই করেনাকালে ভাজাপোড়া খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।

এখন যেহেতু কোভিড টিকার ঘাটতি রয়েছে, তাই নিজেকে সুস্থ রাখার একমাত্র উপায় হচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। করোনার ভয়ে কাঁপছেন, আবার ভাজাপোড়া খেতে চাচ্ছেন। দুটি একসাথে করবেন না। নিজে সুস্থ থাকুন তাহলে আপনার প্রিয়জনেরাও সুস্থ থাকবে।

Back to top button