নিম পাতা তার ঔষধি গুণাগুণের জন্য সুপরিচিত। প্রতিদিন খালি পেটে নিম পাতা চিবিয়ে খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে, হজমক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ হওয়ায় সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। তবে, এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও কিছু বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য নিম পাতা সেবন নিষিদ্ধ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাদের ভুল করেও নিম পাতা চিবানো উচিত নয়:
এই ৭ জনের নিম পাতা চিবানো উচিত নয়:
১. গর্ভবতী মহিলারা: নিম পাতা জরায়ুকে প্রভাবিত করতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের নিম খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি: অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম পাতা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। নিম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও সক্রিয় করে তোলে, যা কখনও কখনও অটোইমিউন রোগের লক্ষণগুলিকে দ্রুত প্রকাশ করতে পারে এবং রোগীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৩. ছোট বাচ্চারা: ছোট বাচ্চাদের পাচনতন্ত্র অত্যন্ত সংবেদনশীল। নিম পাতা তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং বমি, ডায়রিয়া ও পেট ব্যথার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, নিমে উপস্থিত কিছু উপাদান শিশুদের মধ্যে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
৪. যাদের রক্তে সুগারের মাত্রা কম: নিম খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে যেতে পারে। যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খাচ্ছেন বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় ভুগছেন, তাদের অবশ্যই সাবধানতার সাথে নিম খাওয়া উচিত।
৫. লিভার বা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি: অতিরিক্ত পরিমাণে নিম পাতা খেলে লিভার এবং কিডনির উপর চাপ পড়তে পারে। তাই এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম খাওয়া উচিত নয়।
৬. অ্যালার্জিতে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা: কিছু লোকের নিম পাতার প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে। নিম পাতা চিবিয়ে খেলে তাদের ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিমের প্রতি অ্যালার্জি থাকলে এটি পরিহার করাই শ্রেয়।
৭. অস্ত্রোপচারের পূর্বে: নিম রক্তে শর্করা এবং রক্তচাপের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, কোনো ব্যক্তির অস্ত্রোপচার scheduled থাকলে, তার কমপক্ষে ২ সপ্তাহ আগে থেকে নিম খাওয়া বন্ধ করা উচিত।
এই সতর্কতাগুলি অবলম্বন করুন:
যদি আপনি অন্য কোনো ওষুধ খাচ্ছেন, তাহলে নিম পাতা চিবানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অতিরিক্ত পরিমাণে নিম খাবেন না। এর ফলে বমি বমি ভাব, বমি বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
সর্বদা তাজা এবং পরিষ্কার নিম পাতা ব্যবহার করুন।
উপকারিতা অনেক থাকলেও, উল্লেখিত ব্যক্তিদের জন্য নিম পাতা সেবন ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য।
