লাইফস্টাইল

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে বিশেষ বার্তা: গর্ভাবস্থায় সুপারফুড খেলে মন থাকবে ভালো, থাকবে সুস্থতা

৭ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এই দিনটি আমাদের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার প্রতি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়। ২০২৫ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে সামনে এল এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার অত্যন্ত কার্যকরী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য শুধু তার নিজের নয়, গর্ভস্থ সন্তানের উন্নয়নের সঙ্গেও অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কিছু সুপারফুড খাদ্যতালিকায় রাখলে এই সময়ে মেজাজ স্থিতিশীল রাখা এবং মানসিক চাপ কমানো সম্ভব। নিচে রইল এমনই ৮টি সুপারফুড, যা গর্ভবতী মায়েদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত।

🍳 ১. ডিম
ডিমে থাকে ভিটামিন বি১২ ও কোলিন, যা মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণে সাহায্য করে। এতে মেজাজ থাকে স্থিতিশীল।
কীভাবে খাবেন: সেদ্ধ, অমলেট বা ভাজা—যেভাবে ইচ্ছা।

🍌 ২. কলা
কলা ট্রিপটোফ্যান সমৃদ্ধ, যা খুশির হরমোন সেরোটোনিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন: দুধের সঙ্গে ব্লেন্ড করে বা শুধু ফল হিসেবে।

🥬 ৩. সবুজ শাকসবজি
পালং শাক, মেথি ও সরিষায় থাকে আয়রন, ফোলেট ও ক্যালসিয়াম, যা শরীরের পাশাপাশি মনকেও শান্ত রাখে।
কীভাবে খাবেন: সবজি, পরোটা বা স্যুপ হিসেবে।

🥑 ৪. অ্যাভোকাডো
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফোলেট ও ভিটামিন বি৬-এর জন্য অ্যাভোকাডো মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
কীভাবে খাবেন: স্মুদি বা টোস্টের সঙ্গে।

🍓 ৫. বেরি
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা রাস্পবেরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
কীভাবে খাবেন: ওটস, সালাদ বা স্মুদিতে মিশিয়ে।

🥛 ৬. দুধ ও দই
এই দুটি দুধজাত খাবার ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সরবরাহ করে, যা ভালো ঘুম ও মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন: দুপুরে দই, রাতে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ।

🍫 ৭. ডার্ক চকলেট
ফ্ল্যাভোনয়েড ও ম্যাগনেসিয়াম-সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট তাৎক্ষণিকভাবে মেজাজ ভালো করে দেয়।
কীভাবে খাবেন: দিনে ১-২টি ছোট টুকরো, মেজাজ খারাপ হলে।

🥜 ৮. বাদাম ও বীজ
আখরোট, কাজু, তিসি, চিয়া—সবকিছুতেই থাকে ভিটামিন ই ও ম্যাগনেসিয়াম, যা মানসিক চাপ কমায়।
কীভাবে খাবেন: প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম জলখাবারে।

⚠️ সতর্কবার্তা:
এই প্রতিবেদনটি সাধারণ স্বাস্থ্য জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কোনও খাদ্য গ্রহণের আগে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি, বিশেষত যদি অ্যালার্জি বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে।

শেষ কথা:
গর্ভাবস্থা শুধুমাত্র শারীরিক পরিবর্তনের সময় নয়, মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখাও এই সময়ে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ খাদ্যাভ্যাসই হতে পারে সুস্থ মনের চাবিকাঠি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে নিজেকেও দিন একটু বাড়তি যত্ন—খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সুপারফুডগুলো, আর উপভোগ করুন মাতৃত্বের প্রতিটি মুহূর্ত।

Back to top button