লাইফস্টাইল

এয়ার ফ্রায়ার: তেল ছাড়াই ভাজার জাদু, স্বাস্থ্য কতটা সাথ দেয়?

ভাজাভুজি খেতে কে না ভালোবাসে! গরম ভাতের পাশে মুচমুচে বেগুন ভাজা হলে আর কিছুই লাগে না। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বারবারই তেলেভাজা খাবার থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। ডুবো তেলে ভাজা যেকোনো খাবারই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভাজা খাবার যত এড়িয়ে যাওয়া যায় ততই ভালো। কিন্তু রোজ রোজ সেদ্ধ খাবার খেতেও অনেকেরই অরুচি ধরে। আর ঠিক এই সমস্যার সমাধানেই এখন বহু মানুষের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে এয়ার ফ্রায়ার। শুনে অবাক লাগলেও, এই যন্ত্রের সাহায্যে তেল ছাড়াই বেগুন থেকে আলু পর্যন্ত ভাজা সম্ভব! আধুনিক রান্নাঘরে এয়ার ফ্রায়ার এখন বেশ জনপ্রিয়। এই যন্ত্রের বিশেষত্ব হল, এতে সামান্য তেল ব্যবহার করেই মুচমুচে খাবার রান্না করা যায়।

বিশ্বাস করা কঠিন হলেও, এয়ার ফ্রায়ারে ভাজা খাবার তৈরি করতে প্রায় এক ফোঁটা তেলই যথেষ্ট। এর ফলে এই যন্ত্রে রান্না করা খাবারে ফ্যাটের পরিমাণও অনেক কম থাকে। এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করে খেলে একদিকে যেমন তেলের খরচ বাঁচে, তেমনই কম তেলে রান্না হওয়ার কারণে শরীরের ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। সাধারণভাবে ভাজা খাবারে যে পরিমাণ তেল ও ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করে, এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করা খাবারে তার পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য উপায়ে ভাজা খাবারের তুলনায় এয়ার ফ্রায়ারে ভাজা খাবারে অ্যাক্রিলামাইডের পরিমাণ প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। অ্যাক্রিলামাইড একটি রাসায়নিক পদার্থ যা উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করার সময় ভেঙে গিয়ে ক্ষতিকারক কার্সিনোজেন তৈরি করতে পারে। এয়ার ফ্রায়ারে যেহেতু খুব অল্প তেলে রান্না করা হয়, তাই তেল ছিটকানোরও কোনো ভয় থাকে না। এর পাশাপাশি, সঠিকভাবে ব্যবহার করলে খাবারের পুষ্টিগুণও বজায় থাকে।

তবে এয়ার ফ্রায়ার মানেই স্বাস্থ্যকর খাবার, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ এই যন্ত্রে যাই রান্না করা হোক না কেন, তা আদতে ভাজাই হচ্ছে। ফলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও স্থূলতার মতো স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করা খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

Back to top button