বিনোদন

‘বিয়ের পর শাশুড়িকে রাঁধা শিখিয়েছি আমি ‘,—জেনেনিন শাশুড়িকে কোন পদ শেখালেন অভিনেত্রী মিমি ?

রান্নার প্রতি ভালোবাসা বরাবরই রয়েছে মিমির। আর বেছে বেছে সে বর পেয়েছে এমন একজনকে যে কিনা নিজেও রাঁধতে ভালোবাসে। ওম ও মিমি দুজনেই ভালোবাসে রান্না করতে তাই তারা বাড়ির রান্না নিজেরাই করে। এর আগে লকডাউনের সময় নিজে নিজেই বাড়িতে থেকে বিভিন্ন পদ রান্না করেছেন মিমি। আর সেই তালিকায় ছিল কখনো ম্যাগি দিয়ে তৈরী বড়া আবার কখনো মিষ্টি আলু ও দই দিয়ে বড়া। মগ দল থেকে শুরু করে পাকিস্তানী রান্নার পদ সবকিছুই রাঁধতে পারদর্শী মিমি।

মিমি তাই গর্ব করে বলেন “রান্না আমার রক্তে আছে। আমার বাবা এ দেশী। মা বাঙাল। তাই দুই তরফের রান্নাই শিখেছি ছোট থেকেই। বাড়িতে দাদা-বৌদি-মা-বাবা সবাই রান্না করতে পারে। শুধু পারেই না ভালবাসে।”

এক শুধু মিমি নন রান্না করতে ভালোবাসেন ওমও। ওমের হাতে তৈরী খাবারের মধ্যে মিমির পছন্দ হলো পাথর মাংস। মিমি ঝাল পছন্দ করেন বলে মাংসে থাকে অতিরিক্ত কাঁচা লঙ্কা। গোটা বাড়িটাকেই যেন তারা বানিয়ে রেখেছেন এক রেস্তোরা হিসেবে। মিমির কথায় “আমরা কেউ কোনওদিন ওই রেস্টুরেন্ট থেকে আনিয়ে কিছু খাই না। কিছু একটা মনে হল বাড়িতেই বানিয়ে ফেললাম। সে দইবড়া হোক অথবা চাইনিজ… সব বাড়িতেই।”

বিয়ের পর ওমের মা অর্থাৎ মিমির ‘মাম্মিজি’র কাছ থেকে যেমন শিখেছেন বিভিন্ন পদের রান্না। সেরকমই তিনিও শাশুড়িকে শিখিয়েছেন কথায় কোন ফোড়ন দিতে হয় আর কিভাবে সবজি দিয়ে বানিয়ে ফেলতে হয় নিরামিষ মুগ ডাল। মিমি বাঁধাকপিতে পেঁয়াজ দেওয়া একদমই পছন্দ করেন না আর সেই কোথাও শেয়ার করেছেন তার শাশুড়ি মার্ সাথে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেছেন ওম-মিমি। বাড়ির কাজে ও রান্নার কাজে ওম যে হাত লাগে না তা নয় সে সুযোগ পেলেই সাহায্য করে মিমিকে। আর যখন বাড়িতে মিমির শাশুড়ি মা আসেন তখন তাকে রান্না ঘরে ঢুকতেই দেননা। তবে নতুন বৌয়ের কাছে রান্না করাটা একটা ভালোবাসার বিষয়। শুটিংয়ের ব্যস্ত শিডিউলের মাঝে মিমি আনন্দ খুঁজে পান গরম তেলে ফোরণের শব্দে। অভিনব বিভিন্ন রান্নার পদ নিয়ে আগামী টো মার্চ ওম-মিমি হাজির হতে চলেছেন ষ্টার জলসার রান্না বান্না অনুষ্ঠানের হাসব্যান্ড অ্যান্ড ওয়াইফ স্পেশ্যাল সপ্তাহে।সেই শোতে ওম বানাবেন মতন ছিলি ফ্রাই আর মিমি বানাবেন টম্যাটো রাইস।

Back to top button