বড় গায়ক হয়েও নেই কোনো অহংকার, সাধারণ পোশাকে খুদে ভক্তদের সাথে আড্ডায় অরিজিৎ, রইলো ভিডিও
জন্মসূত্রে অরিজিৎ মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।বলিউডের এই জনপ্রিয় গায়ক মাকে হারানোর পরেও মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে করোনার সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। বলিউডের প্রথম সারির গায়কদের মধ্যে অরিজিৎ সিং অন্যতম। সম্প্রতি অরিজিৎ সিং তার মাকে হারিয়েছেন। তিনিও আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। অরিজিতের মা অদিতি সিং এর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন অদিতি। কিন্তু পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হাওয়ায় সমস্ত আশা শেষ হয়ে যায়।
অরিজিৎ বর্তমানে গানের জগতে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার গান শোনেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। বর্তমান প্রজন্মের কাছে অরিজিৎ সিং হলো একেবারে হার্টথ্রব। বিশেষ করে মেয়েরা অরিজিৎ সিং এর গান পছন্দ করে না এমন খুঁজে পাওয়া যায় না। ২০০৯ সালে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন মার্ডার টু চলচ্চিত্রের ফির মহব্বত গানের মধ্য দিয়ে। এরপর থেকে তিনি আর পিছনে ফিরে তাকাননি। তারপর থেকে বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন তিনি। শুধু হিন্দি নয় বাংলা সিনেমাতেও বহু গান গেয়েছেন তিনি।
তার গানগুলির মধ্যে কানামাছি, হাওয়াবদল, মিশর রহস্য, হনুমান. কম, চাঁদের পাহাড়, গেম, অপুর পাঁচালী, তিন পাত্তি, চিরদিনই তুমি যে আমার, গল্প হলেও সত্যি, হাইওয়ে, হারকিউলিস, যোদ্ধা, খাদ, কাঠমুন্ডু, পারবনা আমি ছাড়তে তোকে, বেশ করেছি প্রেম করেছি, শুধু তোমারই জন্য, এবি সেন, বাস্তুসাপ, অভিশপ্ত নাইটি, এছাড়াও হিন্দিতে রয়েছে আরো চলচ্চিত্রের গান। এছাড়াও তেলেগু, কানাডা, অসমীয়া, তামিল, মারাঠি ভাষাতেও অনেক গান গেয়েছেন অরিজিৎ।
তিনি যতই এখন কাজের সূত্রে মুম্বাইতে থাকুন না কেন। তা সত্ত্বেও নিজের জন্মভূমি মুর্শিদাবাদে আসতে ভোলেননা। প্রতিবার দুর্গাপূজার সময় গ্রামের বাড়িতে আসতে ভুলেননা তিনি। কনসার্ট করতে এ দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ালেও জন্মভিটে তাকে এখনো টেনে নিয়ে আসে। সাধারণ জামাকাপড় পড়ে খুদে ফ্যানকে কোলে টেনে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে মেতে উঠেছে অরিজিৎ। আর তার এই অহংকার না থাকায় সকলেই তাকে খুব ভালোবাসে। বর্তমান তার কোনো অভাব নেই কিন্তু কোনো অহংকারও নেই।