গুরুকুল থেকে রিজেক্ট হওয়া ছেলেটি আজ বলিউডের সেরা সিঙ্গার অরিজিৎ সিং
সংগীত জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন অরিজিৎ সিং। অরিজিতের বয়স তখন কেবল ১৭। ছোট থেকেই সংগীত ভালোবাসতেন। তাই গানকে ভালোবেসে মুর্শিদাবাদ থেকে ২০০৫ সালে এসেছিলেন ফেম গুরুকুল এর মঞ্চে। এটিও একটি মিউসিক রিয়ালিটি শো বাংলায় সারেগামাপার মত। এখানে গুরুজীরা গান সেখান ও বিচার করেন।
এটি ইন্ডিয়ান আইডলের আদলে তৈরী করা হয়েছিল ‘ফেম গুরুকুল’। এখানকার প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন ইলা অরুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় অরিজিতের বয়স তখন প্রায় ১৮। ইলা অরুন অরিজিতকে খুব বকাবকি করছেন।এবং একটা সিডি অরিজিৎ এর হাতে দেন। আর অরিজিৎ সেখানে কেঁদেই চলেছেন । অরিজিৎ ইলা করিমের পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু অরিজিতকে তিনি বকেয়া যাচ্ছেন। অরিজিৎ কাদতে কাদতে ইলা অরুণকে বলেন আমি আপনাকে মায়ের চোখে দেখি। ইলা অরুন জানান যে তিনিও কোনো কারণে দুঃখিত। তারপর অরিজিৎ ওই সিডি নিয়ে নিজের ঘরে চলে যান।
সেই গুরুকুলের মঞ্চ থেকে ছিটকে যায় অরিজিৎ। তারপর আবার তিনি ফিরে যান মুর্শিদাবাদে। তারপর সেখানে কোয়েল নামে একটি মেয়েকে তিনি বিয়ে করেন। যদিও সেই সম্পর্ক ১ বছরের বেশি দীর্ঘ হয়নি এবং কিছুদিন আগে পর্যন্ত অরিজিৎ সিং এর প্রথম স্ত্রীর নাম দেখা যেত রূপরেখা ব্যানার্জি।
ব্যাক্তিগত জীবনে নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় অরিজিতকে। অরিজিৎ গুরুকুল থেকে ফেরার পর বহুদিন মুর্শিদাবাদে থাকেন তারপর তিনি বাড়িতেই প্র্যাকটিস করতেন। কিন্তু ইচ্ছে ছিল বড় গায়ক হবেন তাই অরিজিৎ বেশ কয়েকজন সংগীত পরিচালক যেমন মিথুন শর্মা,বিশাল-শেখর এবং প্রীতমের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন মুম্বাই এসে। রবর্তীতে তিনি ‘আশিকি ২’ ছবিতে ‘তুম হি হো’ গানটি গান, এবং এর জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। গানটির জন্য তিনি ৫৯ তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস এ সেরা পুরুষ গায়কের পুরস্কার অর্জন করেন। তারপর তিনি জিৎ গাঙ্গুলির সাথে মুস্করণে গানটি করেন। এই গানটির জন্য তিনি সেবছর সেরা নমিনেসন পান। এরপর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন বহু হিট গান দর্শকদের উপহার দিয়ে যাচ্ছেন অরিজিৎ সিং।