বিশেষ: একটি মাত্র কারণেই কিশোর কুমারের সঙ্গে গান গাওয়া বন্ধ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর
একটা সময় ছিল বলিউডে, কোনো প্রযোজক সিনেমা বানিয়ে ভালো ব্যবসা করতে চাইলে লতা মঙ্গেশকরকে ছাড়া ভাবতে পারতেন না। অথচ পর্দায় দ্যুতি ছড়ানো কোনো অভিনেত্রী তিনি নন!
একজন প্লেব্যাক সিঙ্গার লতা মঙ্গেশকরই ভারতের চলচ্চিত্রের অঙ্গন শাসন করেছেন বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ; হয়ে উঠেছেন বলিউডের ‘নাইটিঙ্গেল’।
সেসব দিনে নামি-দামি সব নায়িকাই চাইতেন, পর্দায় তাকে যে গানটি গাইতে দেখা যাবে, তাতে যেন লতাজির কণ্ঠ থাকে। তিনি যে কোকিলকণ্ঠী, ভারতের সুরসম্রাজ্ঞী!
তার কণ্ঠের জাদু ছাড়িয়ে গেছে দেশের সীমানা, ঘুচিয়ে দিয়েছে ভাষার ব্যবধান। দীর্ঘ সাতটি দশক ভারতীয় উপমহাদেশের সংগীতভক্তদের তিনি বেঁধে রেখেছেন সুরের মায়ায়।
সে কি কেবলই কণ্ঠের জাদু? অনেকের বিচারে লতা মঙ্গেশকর ভারতের সেরা সংগীত শিল্পীদের একজন। আসলে তিনি ছিলেন তার চেয়েও বেশি কিছু। ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে প্রথম সারির আইনকনদের একজন। আর এই সুর সম্রাজ্ঞী একসময় কিশোর কুমারের সাথে গান গাওয়া বন্ধ করে দেন। শুধু তিনি একই নয় কিশোর কুমারের সাথে গান গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন আশা ভোঁসলেও। আর এবার সেই গান বন্ধ করে দেওয়ার কারণ জানা গেলো বিখ্যাত গীতিকার সমীর অঞ্জন -এর দ্য কপিল শর্মা শো’তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।
বলিউড গীতিকারের কথায়, “লতাজি নিজে আমাকে একবার বলেছিলেন যে একটা সময়ের পর তিনি কিশোর কুমারের সঙ্গে ডুয়েট গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন গান রেকর্ডিংয়ের আগে কিশোরদা এত গল্প-আড্ডা মারতেন যে তাতে না যোগ দিয়ে থাকতে পারতেন না লতাজি। কথার সঙ্গে ভাগ হতো হাসাহাসিও।
শেষমেশ রেকর্ডিংয়ের সময় দেখা যেত লতাজির গলা ব্যাথা করছে কিংবা ক্লান্ত বোধ করছেন তিনি। অন্যদিকে দিব্যি হাসতে, হাসতে নিজের গানের রেকর্ডিং সেরে বেরিয়ে যেতেন কিশোরদা। এই দেখে একটা সময়ের পর লতা মঙ্গেশকর ঠিক করলেন আর কিশোরের সঙ্গে গাইবেন না তিনি।” তাই লতা কিশোর কুমারকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “ওঁকে একাই গাইতে দাও। আমি আর গান গাইব না ওঁর সঙ্গে”!