টলিউড অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও পরিচালক সুব্রত সেনের মধ্যে বেড়েছে দ্বন্দ্ব। পরিচালক সুব্রত সেন অভিনেত্রীর উপর বেজায় রেগে গিয়েছেন। ক্ষুদ্দ পরিচালক সোশ্যাল মিডিয়ায় হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে সেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন সোহিনীর ‘যথেষ্ট হয়েছে, কেউ এত গুরুত্বপূর্ণ নয় যে তাঁকে বদলানো যাবে না।’
প্রসঙ্গত নিজের নতুন সিনেমার একটি চরিত্রের জন্য পরিচালক পছন্দ করেছিলেন সোহিনী কে। নতুন ছবি নিয়ে প্ৰাথমিক আলোচনাও হয়েছে। পরিচালকের দাবি সোহিনী বারবার সময় দিয়েও তার সাথে দেখা করতে আসেননি, ফোন ধরেননি এমনকি রিপ্লাইও দেননি। আর তাতেই বিরক্ত হয়ে যান পরিচালক।
তবে পরিচালক তার ব্যক্তিগত কথপোকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার জন্য অনেকেই তার বিরুধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরিচালকের ওই পোস্টের বিষয়ে সোহিনী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তিনি পরিচালক সুব্রত সেনকে দেখা করার জন্য কোনও তারিখ দেননি। এছাড়াও শুক্রবার তার মায়ের জন্মদিন ছিল। আর তার মাঝেই রয়েছে অন্য ছবির ডাবিং নিয়ে ব্যস্ততা। তাই তিনি পরিচালকের কল ধরতে পারেননি।
এছাড়াও সোহিনী আরও জানিয়েছেন যে তিনি এখনো আলোচ্য ছবির চিত্রনাট্য হাতে পাননি। পরিচালকের গল্প শুনেই তিনি কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন। পরিচালক তাকে চিত্রনাট্য না শুনিয়েই পারিশ্রমিক দিতে চেয়েছিলেন সোহিনীকে। কিন্তু অভিনেত্রী সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।
অপরদিকে পরিচালক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে সোহিনী তার সাথে দেখা করতেই আসেননি সিনেমার বাকি চরিত্ররা তার কাছে এসে চিত্রনাট্য পরে গেছে। কিন্তু সোহিনী চিত্রনাট্য পড়তে আসেননি তাই পরিচালক তাকে বারবার ফোন করছিলেন।
অপরদিকে সোহিনী দাবি করে জানিয়েছেন যে পরিচালক সুব্রত সেন তাকে অপমান করেছে কারণ পরিচালক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন যে সোহিনী নাকি তার বয়ফ্রেন্ড রণজয় বিষ্ণুকে কাজে না নেওয়ার কারণেই কাজ করতে চাইছেন না এই ছবিতে ? আর এই কথাতেই রেগে গিয়েছেন নায়িকা। সোহিনী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে তিনি কখনোই রণজয় কে এই সিনেমায় কাজ দেওয়ার জন্য বলেননি এটা পরিচালক সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যে বলেছেন। সেই সাথে সোহিনী আরও বলেন “ফোন না ধরতে পারা যদি অপেশাদার আচরণ হয়, তাহলে চিত্রনাট্য না শুনিয়ে আগাম পারিশ্রমিক নিতে জোর করাও কি অপেশাদার আচরণ নয়?”
