নিজের হাত কেটে রক্ত দিয়ে লিখলেন অন্বেষার নাম, ভক্তের এরকম ভালোবাসায় উত্তেজিত অভিনেত্রী!
আজকাল আজব কতকিছুই না দেখা যায়। অনেকেই কতকিছু করে নিজেকে রাতারাতি সকলের কাছে পৌঁছে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তাই বলে নিজের হাত কেটে অভিনেত্রীর নাম লিখে ভাইরাল হওয়ার মানে কি? এটা পাগলামো ছাড়া আর কি? হ্যা সম্প্রতটি এরকমই ঘটনা ঘটেছে। গত ১৪ ই জুলাই, রাতে অন্বেষার এক অনুরাগী ছুরি দিয়ে নিজের হাত কেটে তার রক্ত ব্যবহার করে সাদা কাগজে ইংরাজি ভাষায় অন্বেষার পদবী সহ নাম লিখে ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেন। তার এই পোস্ট দেখেই অভিনেত্রী একেবারে রণচন্ডী রূপে ধরা দিলেন।
অন্বেষা ওই পোস্ট দেখার পর তার প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি। অন্বেষার বন্ধু তাঁকে প্রথম ওই অনুরাগীর শেয়ার করা ছবি দেখায়। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে অন্বেষা জানিয়েছেন, এইরকম ভাবে নিজের হাত কেটে, নিজেকে কষ্ট দিয়ে অন্যের প্রতি ভালোবাসা জাহির করা উচিত নয়।অন্বেষা বলেছেন এটা করা ঠিক নয় সকলে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে শিল্পীদের পাশে থাকলে শিল্পীরা বেশি করে উৎসাহিত হবেন। এটা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এর থেকে পার্লারে গিয়ে ট্যাটু করলে সেটা থেকে যেত কিন্তু এই লেখা তো কিছুদিন পরেই হারিয়ে যাবে।
অন্বেষা হাজরা বর্তমান ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। সেখানে তার অভিনয় প্রশংসিত। গল্পের মধ্যে উর্মি ও সাত্যকি তাদের পরিবারের সাথে সাথে বলতে চলেছে কলকাতা শহরের গল্প। এই গল্পের উর্মি একজন শহরের উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে কিন্তু তার বিপরীতে থাকা সাত্যকি একজন মধ্যবিত্ত হাসি-খুশি পরিবারের ছেলে। ধারাবাহিকের অভিনেত্রী উর্মি পরিবারের সকলের মন রক্ষার্থে খেলাধুলা, নাচ বা ফটোগ্রাফি শেখে। তারপরেও সে ট্যাক্সি চালানো শিখে নেয়। আর তারপরেই এই ট্যাক্সি নিয়েই গল্প।এরপরেই ধীরে ধীরে শুরু হয়ে যায় উর্মি আর সত্যকির প্রেমের রসায়ন। এর আগে একটি প্রমোতে দেখানো হয়েছে মন্দিরে ভগবানকে সাক্ষী রেখে ঊর্মিকে সিঁদূর পরিয়ে দিল সাত্যকি। এরকমই আরও নতুন চমক থাকছে এই ধারাবাহিকে।
;