সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে শান্তির শুরুটা ঠিক কীভাবে হয় জানালেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত!
বাংলা টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন ঋতুপপর্ণা সেনগুপ্ত। বয়স বাড়লেও রূপের জেল্লা একটুও কমেনি। ৪৯ বছর বয়সে পৌঁছেও নিজেকে ফিট রেখেছেন অভিনেত্রী।তবে বেশ কিছুদিন ধরে ভীষণ মন খারাপ টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। কারণ লকডাউন এবং পরবর্তীকালে সিনেমাহল বন্ধ তার উপর একের পর এক কাছের মানুষের মৃত্যু যার ফলে মন খারাপ অভিনেত্রীর । তবে এবার শান্তির খোঁজ করার চেষ্টাই করলেন ঋতুপর্ণা।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেছেন টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সেই ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘পিস বিগিনস উইদ এ স্মাইল’ যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়—‘শান্তির শুরু হয় এক হাসিতে।’ ছবিটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরাও নানা রকম মন্তব্যে ভরিয়ে দেয় অভিনেত্রীর পোস্টে।
View this post on Instagram
কিছুদিন আগে এই পৃথিবী ছেড়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন অভিনেতা দিলীপ কুমার। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ছিল গোটা সিনেমা জগৎ। তারকারাও শোকচরণ করেছেন অভিনেতার মৃত্যুতে। বাদ যাননি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। তিনি স্মৃতিচারণায় বলেন, যখন আমি খুব ছোট ছিলাম তখন থেকে আমি ওঁর নাম শুনতাম। দিলীপ কুমার। তখন সে সময়ে আমি কিছুই বুঝতাম না যে এই মহান মানুষটি আসলে কে? এরপর যখন আস্তে আস্তে বড় হলাম, আমি জানতে শুরু করলাম যে গোটা ইন্ডাস্টিতে এই মানুষটি কতটা আধিপত্য বিস্তার করে রেখে ছিলেন। দিলীপ কুমার অভিনীত প্রথম ছবি যা আমি দেখি তা হল ‘শক্তি’। আমি তখন স্কুলে পড়ি। সেই সময় আমি দিলীপ কুমার এবং অমিতাভ বচ্চনকে একই ফ্রেমে দেখি। দুই মহান অভিনেতাকে একসঙ্গে দেখাটা আমার কাছে ভীষণ রোমাঞ্চকর ছিল। তারপর একে একে ‘কর্মা’, ‘সৌদাগর’ দেখলাম। পরেরদিকে ‘দেবদাস’, ‘মধুমতী’ দেখি। আমার বাবা তাঁর ভীষণ বড় ফ্যান। আমি বেশিরভাগ সময় বাবার মুখে দিলীপ কুমারের নাম শুনতাম।’
‘আজ গোটা বিশ্ব তাঁকে চেনে এবং মহান মানুষটির মৃত্যুতে গোটা বিশ্ব আজ শোকাহত। কিন্তু উনি যা রেখে গিয়েছেন, ওঁর রাজত্ব, ওঁর লিগেসি, প্রজন্মের পর প্রজন্মে ওঁর এই অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে যাবেন। তাঁকে বলা হতো ‘ট্র্যাজিকের রাজা’ কারণ তিনি এতটা ভার্সেটাইল ছিলেন। যেভাবে তিনি সংলাপ বলতেন, থামতেন, পজ় নিতেন, এক্সপ্রেশন সব ছিল মন্ত্রমুগ্ধকর। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এক অন্ধকারচ্ছন্ন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলছে। আমরা একের পর মূল্যবান রত্ন হারিয়ে ফেলছি। উনি আমাদের কোহিনূর ছিলেন। আমরা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিক কোহিনূর হারিয়ে ফেললাম। ওঁর সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত আলাপ হয়নি কিন্তু অনেকবার আমাদের দেখা হয়েছিল। এক বড় ক্ষতি হয়ে গেল… ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আমি আশা করি ওঁর লিজেসি থেকে যাবে। মহান ব্যক্তিত্বদের মৃত্যু হয় না। উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দিলীপ কুমার আমাদের সঙ্গে থেকে যাবেন ।’