বিনোদন

‘মানুষকে এখনো বোঝানো গেল না ধর্ম যার যার নিজের ব্যাপার,কিন্তু ‘উৎসব’ সবার’: মীর

বাংলার টেলিভিশন জগতে মীর আশরাফ আলী এখন জনপ্রিয় ব্যাক্তি। জী বাংলায় তার মিরাক্কেল লোকের কাছে বিশেষ জনপ্রিয় শো। মীর সবসময় মানুষকে হাসতেই ভালোবাসেন। একসময় ‘খাস খবর’ দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মীর।কিন্তু বর্তমান তাকে বাংলার সকলেই খুব ভালো করে চেনেন। সম্প্রতি মীরের নতুন কর্মকান্ডে হতবাক নেটজনতা।

তিনি নানা সময় নানা ভাবে মানুষদের হাসিয়ে থাকেন। এইতো কিছুদিন আগেই তিনি বিখ্যাত ম্যাজিশিয়ান পি.সি.সরকার (জুনিয়র)-এর জন্মদিনে তাঁর মতো সেজে ইন্সটাগ্রামে ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন “আমি ‘আপনি’ সাজলাম”। এরকমই মজা করতে থাকা একজন মানুষ হল মীর আশরাফ আলী।

টেলিভিশনে তারকাদের নিয়ে নানাসময় নানান বিতর্ক উঠে আসে। বহু অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের পড়তে হয় কটাক্ষের মুখে। সম্প্রতি, ছেলেবেলায় দুর্গাপূজায় তিনি কী করতেন, কেমন ছিল তার দিনগুলো- সেসব পুরোনো অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে একটা ভিডিও বার্তা তৈরি করেছেন এবারের পূজা উপলক্ষে। তাতেই বইছে সমালোচনার ঝড়। সে কথা জানিয়ে আক্ষেপ করে ফেসবুক পোস্টে মীর লিখেছেন, ‘এত যুগ বাদেও মানুষকে বোঝানো গেল না যে, ধর্ম যার যার নিজের ব্যাপার। কিন্তু ‘উৎসব’ সবার।’

জনপ্রিয় সঞ্চালক মীর ‘ছোটবেলায় নুন আনতে পান্তা ফুরনোর মতো অবস্থা ছিল। তারপরও পূজায় প্রতিবছর মা-বাবা আমায় নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতেন। কিন্তু কোনোদিন তারা নিজেদের জন্য জামা-কাপড় কিনতেন না।’ এই বৈষম্য মীরের মনে প্রশ্ন জাগিয়েছিল, কেন প্রতিবছর তার জামা হবে? মা-বাবার হবে না?

মীরের বাবা সেদিন ছেলেকে বুঝিয়েছিলেন, মীর বড় হচ্ছে। দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে বাড়ছে। তাই তার জন্য নতুন জামা কেনা হচ্ছে। কিন্তু মা-বাবা বড় হয়ে গেছেন। তাদের আর বাড়-বৃদ্ধি নেই। ফলে, নতুন পোশাক কেনারও দরকার নেই। পরে বড় হয়ে সঞ্চালক উপলব্ধি করেছিলেন, সেই সময় একসঙ্গে তিনজনের পোশাক কেনার সামর্থ্য ছিল না তাদের। তাই শুধু তার জামা কেনা হতো।

Back to top button