কলকাতার মেয়ে রণিতা খালি গলায় গান করে জয় করলেন সকলের মন, বিচারকরা মোহিত হলেন তার গানে
সংগীত শুধু একটি সকলের মন ভালো করার মাধ্যম নয়, সংগীত হল একটি শিল্প-সাধনা। তবে শিল্প-সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে মুম্বাইকে ধরা হয়। কিন্তু কলকাতায় কোনো অংশে কম যায় না। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বহু প্রতিভা উঠে গেছে মুম্বাইতে। সেখানে নিজেকে প্রমান করেছেন তারা। কলকাতা থেকে বহু ছেলেমেয়েরা অডিশনে অংশগ্রহণ করেন ও বিচারকের মন জয় করেন। পশ্চিমবঙ্গের মেয়ে রণিতা ৯ বছর বয়স। প্রথমবারে যখন ইন্ডিয়ান আইডলের রনিতা গিয়েছিলেন তার বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। সেসময় বিচারকরা তাকে উপযুক্ত মনে করেননি। তাই সে মনে মনে ঠিক করে নেয় যে সে নিজেকে তৈরী করে যাবে ।
কিন্তু সেই ছোট্ট মেয়েটি রণিতা আবার প্রমান করে দিলেন যে ছোট হলেও প্ৰতিভাই আসল। ওসব বয়স কিছু না। আবার প্রমাণ তিনি দিয়েও দিলেন লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া মেরা সায়া গানটি গেয়ে সকলের মন জয় করে নিলেন ছোট্ট রনিতা। ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে বারংবার কলকাতা থেকে যাওয়া নানান প্রতিযোগীরা বিচারকদের অবাক করা পারফরম্যান্স করেছেন এ কথা স্বীকার করতেই হবে তবে শুধু তাদের গানে বিচারকরা মুগ্ধ হয়েছেন তা নয়, সেই সমস্ত গানের ভিডিও দেখে সাধারণ মানুষ যেন অবাক হয়েছেন। কিন্তু এবারে সুন্দর করে এতো অল্প বয়সে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া গানটি নিজের কণ্ঠে গাইলেন ছোট্ট রণিতা। তার গানে মুগ্ধ সকলে। তবে উপুযুক্ত শিক্ষা না থাকলে এভাবে গাওয়া সম্ভব নয়।
রণিতা ছোট থেকেই গানের সাথে যুক্ত আছেন। তার বাবাও একজন সংগীত জগতের মানুষ। সংগীতচর্চার সাথেই থাকেন তার বাবা। মেয়েকে ছোটবেলা থেকেই দিয়ে যাচ্ছেন গানের গাইডেন্স। তিনি মেয়েকে বড় করে তুলেছেন তার প্রমান নয় বছর বয়সে অসাধারণ গান গেয়ে শুধু বিচারক নয় তার পাশাপাশি অসংখ্য মানুষের মন জয় করেছেন রণিতা। ছোট্ট রনিতা কলকাতার মেয়ে হিসাবে আমাদের গর্ব হওয়ার কথা। তার এই গানের ভিডিওটি তুমুল ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিজেই শুনে নিন সেই গান–