টলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। তিনি পরিচালনার পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন। ভোটের কাজে ব্যাস্ত থাকার ফলে বাড়ি ছেড়ে থাকতে হয়েছে ব্যারাকপুরে পরিচালক। স্ত্রী ও ছেলে ইউভান ও বিলাসবহুল বাড়ি ছেড়ে ভোট প্রচারের কাজে ব্যাস্ত ছিলেন। ২ রা মে রেসাল্টের পর মান রক্ষা করেছেন শুভশ্রীর কথার। অবশেষে নিজেকে জয়ী করেন পরিচালক।
কিন্তু চারদিকে যে মারণ ভাইরাস করোনা গ্রাস করে নিয়েছে। তাই বিধায়ক রাজ রাস্তায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করলেন পথে নেমে। এমনকি একজন বৃদ্ধা মহিলাকে তিনি মুখে মাস্ক পরিয়ে দিলেন। রাজের এই কর্মকান্ড তাঁর ফ্যানপেজ থেকে শেয়ার করা হয়েছে। ভোটের আগে রাজ মানুষকে নানারকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু শপথ নেওয়ার পড়তে নেমে পড়লেন কাজে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম কাজ হিসেবে তিনি কোভিড মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিলেন রাজ।
বর্তমান ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী করোনা মোকাবিলায় দাঁড়িয়েছেন মানুষের পাশে। মহামারী পরিস্থিতিতে এলাকার বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ও নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করছেন। এদিন নিজের হাতে করে প্যাকেট প্যাকেট খাবার তুলে দিলেন ব্যারাকপুরের দুস্থ মানুষদের হাতে। কারোর মাস্ক ঠিক করে দিলেন তো কাউকে জল দিলেন। আজ ব্যারাকপুর গান্ধীঘাট মোর এবং টিটাগড় পেপার মিল মোড়ের মানুষ তাদের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে পাশে পেলেন সাধারণ মানুষেরা।রাজের হস্তক্ষেপে খুশি সেখানকার বাসিন্দারা।
বিধায়ক হওয়ার পরে রাজ একের পর নানান কাজের মধ্যে দিয়ে মানুষের পাশে দাড়ানর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগেই ১৯ দিনের শিশুর জন্য অর্থ সাহায্য চেয়ে ট্রোলড হন রাজ চক্রবর্তী। সেইসময় কেউ লিখেছিলেন,”লজ্জা করে না আপনার এই ছোট্ট শিশুটার জন্য আর্থিক সাহায্য চাইতে! ভোট ভিক্ষা করার সময় মানুষের হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রাজনীতিতে আসেন কেন আপনারা? নিজের পকেট ভরতে?” কিন্তু সেই সময় রাজ্য কারো কথায় কান না দিয়ে নিজের কাজ করে যাচ্ছিলেন। পড়তে তিনি জানিয়েছেন,”এই সময়ে দাঁড়িয়ে কে কতটা করলাম সেই হিসেব নাই বা ভাবলাম। একা যতটা করা যায়, সকলে মিলে তার থেকে অনেক বেশি করা সম্ভব৷ আরও অনেক মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব। তাই আমার অনুরোধ, দলমত নির্বিশেষে একে অপরের পাশে থাকুন৷ সকলে সুস্থ থাকুন। ভাল থাকুন ও ভাল রাখুন৷”