তাঁর বেঢপ ফিগারের জন্য যেসব সিনেমা থেকে রিজেক্ট হন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
বলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বলিউড থেকে হলিউডে তার যাত্রা শুরু হয়ে গেছে।আজকের দিনে প্রিয়াঙ্কা একজন আন্তর্জাতিক অভিনেত্রীর লিস্টে পড়েন। ২০০২ সালে তামিল সিনেমায় ডেবিউ করেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। নিজের জীবনের গল্প লিখেছেন প্রিয়ঙ্কা। এখনও শেষ হয়নি গল্প লেখা তাই নাম রেখেছেন Unfinished ,শৈশবের সমস্ত স্মৃতি তার টাটকা। শৈশব থেকে এখন অবধি তার সমস্ত অভিজ্ঞতা তার এই unfinished -এ তিনি তুলে ধরেছেন।
তার যাত্রা সহজ ছিল না। বলিউড থেকে হলিউড যাত্রার পথ ছিল অত্যন্ত কঠিন।বলিউডে নিজের পরিচিতি তৈরির জন্য নাক পরিবর্তন করতে হয়েছিল তাকে, যদিও প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন তার নাকে পলিপ ছিল।তার নাকের সার্জারির জন্য নাকি নতুন জীবন পেয়েছেন। তামিল সিনেমার মাধ্যমে প্রবেশ করে আজকের দিনে তিনি একজন স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক লেভেল-এ পৌঁছে গেছেন প্রিয়াঙ্কা।
তার জীবনে বহু কঠিন লড়াই তাকে চালিয়ে যেতে হয়েছে। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার জন্য একের পর ডাক্তারি সার্জারি করতে হয়েছে তাকে। বলিউডের একজন নামি দামি পরিচালক তাকে বলেছিলেন তিনি দেখতে একদমই সুন্দর নন। নিজেকে সুন্দর ও সেক্সি করে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন হিপ ও ব্রেস্ট সার্জারি করতে হয়। এই সার্জারির কথা সোনার পর প্রিয়াঙ্কা কিছুদিনের জন্য ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকেন। কিন্তু এর পরেও কিন্তু লড়াই থামিয়ে দেননি অভিনেত্রী। নাক, ঠোঁট, স্তনের নিম্নাংশ ও পশ্চাতদেশ পুরোটাই প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে পরিবর্তন করেন অভিনেত্রী। পুরোনো খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নিজেকে নতুন ভাবে তৈরি করলেন।
একটি ঘটনা তিনি শেয়ার করে বলেন যে ‘হামরাজ’ সিনেমা থেকে তাকে তার ফিগারের জন্য ব্যাড দেওয়া হয়েছিল।এতো সার্জারি করার পরেও বেশকিছু সিনেমা থেকে তাকে রিজেক্ট করে দেওয়া হয়।এরপর ২০০২ সালে তামিল সিনেমা ‘থামিজান’ (Thamizhan)-এর মধ্য দিয়ে সিনেমা জগতে ডেবিউ করেন তিনি।এই সিনেমায় প্রিয়াঙ্কাকে বিজয়ের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায়। জীবনের লড়াইয়ে থেমে থাকেননি এরপরে ২০০৩ সালে বলিউডে ডেবিউ করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।