নিজের ‘বোল্ড’ ছবি তুলে পর্নফিল্ম, সিনেমার আড়ালে দেহব্যবসা, বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী
বাংলাদেশকে জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী পরিমনির আসল নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। তিনি বাংলাদেশের গ্ল্যামার জগতে পরীমনি বলেই পরিচিত। তিনি জন্ম গ্রহণ করেন বাংলাদেশের খুলনা জেলার সাত সাতক্ষীরাতে। তার জন্ম হয় ১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর। ছোটবেলা থাকতেই অভিনেত্রী হারিয়ে ফেলেন তার মা -বাবা কে। তারপর তিনি পিরোজপুরে দাদু শামসুল হকের কাছেই বড় হয়ে ওঠেন। জন্ম বাংলাদেশের খুলনার সাতক্ষীরায়। ১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর তার জন্ম হয়। খুব ছোট বয়সেই বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন তিনি। এরপর পিরোজপুরে দাদু শামসুল হকের কাছেই বড় হয়েছেন পরী। সেখান থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর কলেজে পড়ার জন্য চলে আসেন ঢাকায়। আর ঢাকায় এসেই তিনি পরিচিত হন গ্ল্যামার দুনিয়ায়।
তার অভিনীত প্রথম সিনেমার নাম ‘ভালোবাসা সীমাহীন’। তার সিনেমা সুপারহিট না হলেও তিনি একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করতে শুরু করেন। ১ বছরেই তিনি স্বাক্ষর করেন টো টি সিনেমায় অভিনয়ের কন্ট্রাক্ট। আর তারপর থেকেই কার্যত তার সম্পর্কে গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে।
চিত্রনায়িকা পরীমনি অতিমাত্রায় মাদক সেবন করতেন। নিজের বাড়িকে মিনি বারও বানিয়ে রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও তৈরি করতেন পরীমনি।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে র্যাবের সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় মিনি বার রয়েছে, যেখানে ডিজে পার্টি করা হতো। সেখানে মাদক গ্রহণ চলতো। নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও তৈরি করতেন পরীমনি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এসব বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন নায়িকা পরীমনি। আর চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ পরীমনির বাসায় এসব মাদক সরবরাহ করতেন
খন্দকার আল মঈন বলেন, অভিযান চলাকালে পরীমনি লাইভে এসে কেন এই উল্টোপাল্টা কথা বললেন এবং সেটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
র্যাব সূত্র জানায়, পরীমনি ও রাজসহ আটক চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এর মধ্যে পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি ও রাজের বিরুদ্ধে মাদক ও পর্নোগ্রাফি আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আটক বাকি দুজন আশরাফুল ইসলাম দীপু ও সবুজ আলীও এসব মামলায় আসামি হবেন।