শাশুড়ি বৌমার লড়াই-ঝগড়া নয় বরং একে অপরের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কেই সেরা হয়ে ওঠে ‘ওগো বধূ সুন্দরী’
বর্তমান করোনা আবহয়ের জন্য সারা দেশ জুড়ে যেখানে লকডাউন চলছে সেখানে কিভাবে শ্যুটিং হবে কারণ সমস্ত কিছুই বর্তমান বন্ধ। যার ফলে টেলিভিশনের পর্দায় টেলিকাস্ট করা হচ্ছে পুরোনো ধারাবাহিক। গত বছর ষ্টার জলসায় ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকটি টেলিকাস্ট করা হয়েছিল লকডাউনের সময়। ষ্টার জলসায় একসময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল ‘ওগো বধূ সুন্দরী’। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা যায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরীকে। সেখানে অভিনেত্রী একটি একান্নবর্তী পরিবারের মিষ্টি বউ-এর চরিত্রে অভিনয় করেন। রাত ৯ তার এই ধারাবাহিক সকলের প্রিয় একটি ধারাবাহিক ছিল।
একটা সময় ছোট পর্দার মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন অভিনেত্রী ঋতাভরী। কিন্তু শুধুমাত্র ছোট পর্দাতেই থেমে নেই তিনি। ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দাতেও অভিষেক হয়ে গেছে ও আজকের দিনে একজন সফলতম অভিনেত্রীর তালিকায় রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বলিউডে ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপন করে ফেলেছেন তিনি। এখন বিদেশের মাটিতে বসবাস তার।অহংকার নেই তার। কিন্তু তার এই মিষ্টি স্বভাবের জন্য সকলেই তার প্রশংসা করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও অভিনেত্রীকে বেশ সক্রিয় থাকতে দেখা যায়।
কিন্তু সেই সময়ের একটি খুবই জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল ‘ওগো বধূ সুন্দরী’। ২০০৯ সালে এই ধারাবাহিক টেলিভিশনের পর্দায় প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল। মূলতঃ মাতৃহারা মেয়ে ললিতার কাহিনী নিয়ে তৈরী হয়েছিল ‘ওগো বধূ সুন্দরী’-র চিত্রনাট্য। ললিতার বাবা ও তার বোন ললিতাকে সবসময় খুশি দেখতে চাইতেন। গল্পে লোলিতা বিয়ে করতে না চাইলেও ললিতার বাবা জোর করে বিয়ে দিয়ে দেন ঈশানের সঙ্গে। কিন্তু ললিতার পছন্দ ছিল না ঈশানকে। একান্নবর্তী পরিবার ছিল ঈশানের। শশুরবাড়িতে মাতৃহারা ললিতার সঙ্গী ও বন্ধু হয়ে দাঁড়ায় তার শাশুড়ি। যে কিনা প্রথমের দিকে বিয়ের রাতেই বাড়ি ছেড়েই যেতে চেয়েছিল সেই পরে বুঝতে পারে পরিবারের মর্ম।
এই ধারাবাহিক দর্শকদের মনে দাগ কেটে গিয়েছিল। সকলের মনে এই ধারাবাহিকের রেশ রেখে ২০১০ সালে শেষ হয়ে যায় এই ধারাবাহিক। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকটির টিআরপি শেষদিন পর্যন্ত যথেষ্ট ভালো ছিল। কারণ শাশুড়ি-বৌয়ের ঘরোয়া রাজনীতি ও ঝগড়ার থেকেও তাদের মা-মেয়ে ও প্রিয় বন্ধু হয়ে ওঠার কাহিনীকে দর্শক পূর্ণ মাত্রায় গ্রহণ করেছিলেন। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’-র মাধ্যমে ঋতাভরী চক্রবর্তী অভিনয় জগতে ডেবিউ করেছিলেন। ঈশানের চরিত্রে প্রথমের দিকে রাজদীপ গুপ্তকে অভিনয় করলেও পরবর্তীতে ঈশানের চরিত্রে আসে রেহান রায়। বাংলার পাশাপাশি এই ধারাবাহিক হিন্দি ভার্সন ‘সসুরাল গেন্দা ফুল’ শুরু হয়।