Nikhil-Nusrat: নিখিলের সঙ্গে তার বিয়ে সম্পূর্ণ ‘অবৈধ-বেআইনি’, আদালতে জানিয়ে দিলেন নুসরাত
যেদিন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান তার পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পিতৃ পরিচয় একেবারেই গোপনে রেখেছেন তিনি। যদিও যশ দাশগুপ্ত একেবারে প্রথম থেকে নুসরতের বাঁধাধরা সঙ্গী হয়ে ছিলেন। এমনকি ডেলিভারি রুম পর্যন্ত যশ ও তার পরিবার নুসরতের পাশে থাকেন।
যশ নিজেই প্রথম প্রতিক্রিয়া দেন নুসরত ও তার সন্তানের পক্ষ থেকে। দুজনে সুস্থ আছেন এই খবর যশ প্রথম জানায়।
এদিকে আমজনতা শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছে নুসরত ও যশ উভয়কে। সোশ্যাল মিডিয়া খুঁজে পেয়েছে নুসরতের সন্তানের পিতাকে। তাদের মতে যশ দাশগুপ্ত হলেন নুসরতের সহবাস সঙ্গী এবং তিনিই ওই সন্তানের পিতা। যদিও এর অকাট্য প্রমাণ নেই।
এদিকে নুসরত চাইছেন পিতৃ পরিচয় ছাড়াই পিতৃতান্ত্রিক যুগে সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করবেন এবং বড় করবেন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় প্রকৃতির নিয়ম মেনেই। এখন শুভেচ্ছা পাওয়ার পালা। খোদ মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানান যশ ও নুসরত জাহানকে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “বাচ্ছাকে ভালো করে মানুষ করো”।
এদিকে নুসরতের বিদেশের মাটিতে বিয়ে করা স্বামী নিখিল জৈন পর্যন্ত ভদ্রতার খাতিরে সন্তানের সুস্থতা কামনা করেছেন। নাহ, কোনো ইমোশন নেই, নেই কোনো যোগাযোগ। তবে দুর থেকে নুসরতের সন্তানের মঙ্গল কামনা করেছেন। একটা সময় নুসরত ঘটা করে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেন। কলকাতায় এসে হয় রিসেপশন। উপস্থিত থাকেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, আচমকাই নুসরত জানিয়ে দেন ওটা বিয়ে নয়, ওটা শুধু সহবাস করার উপলক্ষ। এদেশে কিংবা এরাজ্যে সহবাস যে এত ধূমধাম করে হয় তা রাজ্যবাসী প্রথম দেখলো।
নিখিল জৈন ডিভোর্সের কথা তুললে, নুসরত সরাসরি নাকচ করে বলেন তাদের স্পেশ্যাল ম্যারেজ হয়নি আইন অনুসারে, সুতরাং এটি বিয়েই নয়। অর্থাৎ যেই নুসরত শাখা সিঁদুর পরে সংসদে বক্তৃতা দিলেন বা নিখিলের সঙ্গে প্রায় একটা বছরের কম সংসার করলেন সেটি আদপে বিয়েই নয়।
আর এবার সেই কোথায় আদালতে আরো একবার লিখিত ভাবে জানিয়ে দিলেন নুসরাত ৩ সেপ্টেম্বর আদালত নির্ধারিত সময়ে নুসরাত-নিখিল আদালতে হাজির না হলেও শুক্রবার আদালতে শুনানি হয়েছে। নিখিলের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সত্যব্রত চক্রবর্তী। আর নুসরাতের পক্ষে এদিন আদালতে লড়েন চিন্ময় গুহ ঠাকুরতা।
অভিনেত্রীর উকিল আদালতে নুসরাতের লিখিত বক্তব্য জমা দেন। সেখানে নুসরাত জানিয়েছেন, নিখিল জৈনের সঙ্গে তার বিয়ে ‘অবৈধ ও বেআইনি’।
প্রসঙ্গত,গত ৯ জুন এক বিবৃতিতে নুসরাত জাহান জানান, নিখিলের সঙ্গে তার বিয়ে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় রেজিস্ট্রার করা হয়নি। তাই ওই বিয়েটা অবৈধ। নিখিলের সঙ্গে তার সম্পর্ক লিভ ইন-এর। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের কোনো প্রশ্নই নেই বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।