রুদ্র-মিঠুনের সঙ্গে ‘অ-ফিল্মি’ আড্ডা, গেরুয়া শিবিরের পথে যীশুও! নেট দুনিয়ায় চলছে জল্পনা
রুদ্রনীল ঘোষ ও মিঠুন চক্রবর্তী বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। আর এই দুই তারকার সাথে যীশু সেনগুপ্ত যোগ দিলেন ‘অ-ফিল্মি’ আড্ডাতে। আর সেই আড্ডার ছবি শেয়ার করে সকলকে জানিয়েছেন খোদ রুদ্রনীল ঘোষ। আর সেই ছবি শেয়ার করা মাত্রই ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। ছবি দেখেই নেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছে শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকেই মন্তব্য করে জানতে চেয়েছেন যীশু সেনগুপ্ত তবে কি যোগ দিতে চলেছেন গেরুয়া শিবিরে?
প্রসঙ্গত, অন্যবারের তুলনায় এবার নির্বাচনের আগে রাজনীতি ও গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রি মাইল মিশে হয়ে গেছে একাকার।বিজেপি অ তৃণমূল দুই দলেই ভিড় জমিয়েছেন তারকারা। একাধিক তারকা এক ফুল ছেড়ে অন্য ফুলে যোগ দিয়েছেন আবার কেউ শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রথম যোগ দিচ্ছেন রাজনীতিতে। নির্বাচনের আগে গ্ল্যামার দুনিয়ার তারকারা প্রায় মুড়ি -মুড়কির মতো যোগ দিয়েছেন রাজনীতির ময়দানে।
প্রসঙ্গত উল্লেখনীয় যে যীশু এখনও পর্যন্ত যোগ দেননি বিজেপিতে। তবে তাদের এই আড্ডা বা আলোচনা যে ফিল্ম নিয়ে ছিল না তা জানিয়েছেন রুদ্র নিজেই। রুদ্র নীল বলেছেন ‘যীশু বিজেপিতে যোগ দেবে না ভোট দেবে, সেটা ওঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এই আড্ডা সিনেমার আড্ডা নয়। টলিউডের সমস্যা নিয়েই বেশি কথা হয়েছে মহাগুরু আর যীশুর সঙ্গে। যীশু সেনগুপ্ত জানেন টলিপাড়ার আসল সমস্যা কোথায়।’
রুদ্রনীল আরো বলেন “মমতা সরকারই ঘেঁটে ঘ করেছে ইন্ডাস্ট্রিটা। বহুবার তাঁকে সমস্যার কথা জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি। তবে, ইন্ডাস্ট্রির এই সমস্যাগুলোর সমাধান না হওয়ায় যীশু নিজেও ক্ষুব্ধ। এবং চায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর সুরাহা হোক।”
উল্লেখনীয় যে তারকাদের দল বদল অথবা রাজনীতিতে যোগদানের খবরে অবাক হননা এখন সাধারণ মানুষরা। নির্বাচনের আগে রাজনীতি ও গ্ল্যামার দুনিয়া যে মিশে যাবে তা কিছুটা আন্দাজ করা গিয়েছিলো আগে থেকেই। ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে তলানিতে ঠেকেছে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সর্বত্বই শুরু হয়েছে দোষারোপ আর কাদা ছোড়াছুড়ির খেলা। অনেকেই ব্যস্ত তাদের নিজেদের সহকর্মী ও বন্ধুদের নিজেদের দোলে টানতে। এখন প্রশ্ন হলো তবে কি রুদ্র নীল ঘোষ ও সেরকমই কোনও ইঙ্গিত দিলেন!