মোহর কি সত্যি সিঙ্গল নাকি বিবাহিত, ইদানিং কার সাথে চুপি চুপি প্রেম করছেন!
বাংলা টেলিভিশন জগতের বর্তমানে জনপ্রিয় মুখ হলেন মোহর। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন তার সাংসারিক জীবনের কথা। শশুর বাড়ির থেকে অভিনয় জগতে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সেই সময় তিনি স্বামী সুব্রত রায় ও শশুড়বাড়ির ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। এমনকি সেই সাক্ষাৎকারে জানান যে তার স্বামী একজন কোরিওগ্রাফার।
আর এরপরেই গত সপ্তাহে একটি সাক্ষাৎকারে নিজেকে অবিবাহিত বলে সকলকে চমকে দেন মোহর। আর সেই সাক্ষাৎকারে নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করে আর কিছুই বলেননি তিনি।
আর তারপর ঘটনার সত্যতা সামনে আসে অভিনেত্রীর স্বামী সুব্রত রায়ের বক্তব্য সামনে আসর পর। সুব্রত বাবু পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেন যে তাদের অর্ধাঙ্গে ম্যারেজের প্রায় ৫ বছর হয়ে গেছে। এমনকি কলকাতায় থেকে অভিনয় করার জন্য সোনামনির জন্য কেনো হয় একটি ফ্লাট। তারপর লকডাউন চলাকালীন সোনামনি আবার তার নিজের বাড়ি মালদাতে ফিরে যান। কিন্তু তারপর সোনামনি আর অদ্ভুদ ভাবে ফেরেননি। এমনকি শুধু তাই নয় স্বামী ও শাহুরবাড়ির কারোর সাথে ফোনে কথা পর্যন্ত বলেন না। সুব্রত বাবুর বক্তব্য ছাড়াও এলাকার লোকজনের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে সোনামনি হঠাৎ করেই একদিন কলকাতার ফ্ল্যাটে এসে নিয়ে যান তার যাবতীয় জিনিসপত্র ও বিবাহের কাগজপত্র।
তারপর এই প্রসঙ্গে সোনামনিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে প্রশ্ন এড়িয়ে যান। তবে তিনি যে বর্তমানে সিঙ্গেল তা স্বীকার করে নিয়েই তিনি বলেন যে তাকে এখন মানুষ একজন অভিনেত্রী হিসেবেই চেনে।
অপরদিকে স্বামী সুব্রত রায় তার প্রতি হঠাৎ করেই সোনামনির বিমুখতার কারণ হিসেবে ইঙ্গিত দেন মোহরের সেটে থাকা সোনামনির সহ অভিনেতা প্রতীকের সঙ্গে প্রেম নিয়ে। যদিও টলিপাড়াতে পর্দার মোহর-শঙ্খ জুটির বাস্তব রোমানস্ নিয়ে মাঝে মাঝেই শোনা যায় কানাঘুষো। তবে তার নতুন প্রেম নিয়ে যে জল্পনা চলছে সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন সোনামনি নিজেই।
অভিনয় জগতে তারকারা সবসময় রিল ও রিয়্যাল জগতের মধ্যে মধ্যস্থতা করে চলেন। তাই পর্দায় কোনও তারকা একরকম দেখতে লাগলেও পর্দার বাইরে থাকে তার ব্যক্তিগত বিষয়। তাই গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের মানুষকে পর্দায় দেখে মূল্যন করাটা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। কারণ তারাও রক্ত মাংসের মানুষ।
