বিনোদন

Mimi-Nusrat: সম্পর্কের ভাঙ্গন নিয়ে ওঠে গুঞ্জন, পাত্তা না দিয়ে যশ ও অঙ্কুশের সাথে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন দুই অভিনেত্রী

গত মাসে ভূমিষ্ঠ হয়েছে নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)-এর পুত্র ঈশান (Yishaan)। নুসরত ও মিমি (Mimi Chakraborty)-র বন্ধুত্বের কথা কারও অজানা নয়। ঈশানের জন্মের পর ‘বোনুয়া’ মিমি নিজের খুশি ব্যক্ত করেছিলেন। এবার তিনি পাঠালেন ঈশানের জন্য উপহার।

তবে মিমি নিজে আসেননি। কলকাতার নামী সেলিব্রিটি ম্যানেজার রূদ্রদীপ ব্যানার্জী (Rudradip Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী ঋত্বিকা খাটুয়া (Rittika Khatua)-র মাধ্যমে ঈশানের জন্য উপহার পাঠিয়েছিলেন মিমি। মিমির পাঠানো উপহারের ভিডিও ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন নুসরত। মিমির পাঠানো পোশাকের ডালিতে রয়েছে নানা ধরনের ছোট্ট পোশাক, মোজা, সাবান, শ্যাম্পু ও বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় গলায় বাঁধার জন্য কাপড় প্রভৃতি। এর সঙ্গেই ঈশানের প্রতি রয়েছে মিমির বার্তা, “ছোট্ট সোনাকে পৃথিবীতে স্বাগত”।

নুসরতের ‘বোনুয়া’ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)-ও যথেষ্ট খুশি। তিনি বলেছেন, নুসরত খুব ভালো মা হবেন।
মিমি টুইট করে লিখেছেন, তাঁর ইচ্ছা করছে, নুসরতকে সামনে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন। নুসরতকে অনেক শুভেচ্ছা ও আলিঙ্গন জানিয়েছেন মিমি। এছাড়াও নিজের ইনস্টা স্টোরিতে তাঁর ছবি শেয়ার করে মিমি লিখেছেন, নুসরত দুর্দান্ত মা হবেন। মিমি ও নুসরত বরাবর একে অপরের খুব ভালো বন্ধু। নুসরত অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন তাঁর খাওয়া-দাওয়ার খোঁজ রাখতেন মিমি। এমনকি তাঁর বাড়িতে ফল ও মিষ্টি পাঠিয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁকে নুসরতের বাড়িতে যেতে দেখা যায়নি। মিমি ও নুসরত বরাবর বলেছেন, তাঁরা তাঁদের বন্ধুত্বের প্রচার চান না। তবে নুসরতের মা হওয়ার খবর আসার পর প্রথম শুভেচ্ছাবার্তা মিমির তরফ থেকেই এসেছিল।

তাই টলিউডের অন্দরে যতই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ুক মিমি ও নুসরাতের মধ্যে সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরেছে তা কিন্তু পুরোপুরি বিশ্বাস যোগ্য নয় সাম্প্রতিক ঘটনা গুলোই তারা দৃষ্টান্ত।

প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন কারণে টলিউড়ের অন্দরে গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে যে মিমি -নুসরাতের বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। কিন্তু সেই সময় তারা সেই গুঞ্জনকে পাত্তা না দিয়ে একে ওপরে ব্যস্ত ছিলেন অভিনয় নিয়ে। মিমি সেই সময় ব্যস্ত ছিলেন অঙ্কুশের সাথে ‘ভিলেন’ সিনেমার কাজ নিয়ে অপরদিকে নুসরাত কে কিছুদিন পরেই দেখা যায় যশের সাথে ‘SOS কলকাতা’ -তে। সবমিলিয়ে নিন্দুক কে পাত্তা না দিয়ে তারা নিজের নিজের কাজে ছিলেন ব্যস্ত ও বিভিন্ন সময়ে তারা ছিলেন একে ওপরের পাশে সেটা রাজনীতির ময়দান হোক বা ব্যক্তিগত পরিসর।

Back to top button