‘চোখে চোখে কত কথা, মুখে কেন বলনা’ যোগিনী সেজে কাকে উদ্দেশ্যে করে বার্তা দিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ!
ভারতীয় সংস্কৃতিতে রথযাত্রা একটি সেরা উৎসব। এই উৎসবে সকলে সামিল হয়ে মেতে ওঠে। কিন্তু গত বছর থেকে করোনা অতিমারির কারণে জমায়েত না করার নির্দেশ থাকায় সেরকম ভাবে পালন করা হয়নি রথযাত্রা। প্রতিবারের মতন জমজমাট উৎসব না হলেও পুরী ও কিছু জায়গায় সামান্য নিয়ম রক্ষা করা হয়েছে। এদিন হুগলির মাহেশে পালিত হয় রথযাত্রা। জানা যায় কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ একসঙ্গে রথ উৎসব পালন করেন তাদের একসাথে দেখা না গেলেও নেটিজেনদের তাই ধারণা।
তৃণমূলের নব নির্বাচন বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক এদিন জগন্নাথদেবের দর্শন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ও লেখেন,”মাহেশের রথযাত্রার ৬২৫ তম বর্ষে, শ্রী শ্রী জগন্নাথ বাড়িতে মহাপ্রভু জগন্নাথ দেবের দর্শন ।সাথে ছিলেন মাননীয় সাংসদ শ্রী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুক। জয় জগন্নাথ।” এদিন শ্রীময়ী একটি লাইভ ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে তাকেও দেখা যায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। একটি মেরুন রঙের শাড়ি ও মানানসই গয়নায় সাজেন শ্রীময়ী। এই দেখেই নেটিজেনদের মনে ধারণা যে তারা একসাথেই সেখানে ছিলেন। কিন্তু পাশাপাশি কাউকে দেখা যায়নি। গাড়িতে আসতে আসতেই ভিডিও বানান। ক্যাপশনে লেখেন, “চোখে চোখে কত কথা, মুখে কেন বল না”! এই কঠিন অভিযোগ কার জন্য?
View this post on Instagram
কিছুদিন আগেই শ্রীময়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চায় উঠে এসেছিলেন কাঞ্চন মল্লিকের সাথে সম্পর্কের গুঞ্জনের কারণে। রাজনৈতিক কর্মসূত্রে শুরু হয়েছে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা। এরই মধ্যে অনেকেই বলছেন যে শ্রীময়ী আর কাঞ্চনকে নাকি একসাথে অনেক জায়গায় দেখা যেত। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাকি নিজের মনের কথাও জানিয়েছেন তারা। কিন্তু এখনও অবধি তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ঘেঁটে সেইরকম কিছু চোখে পড়েনি।যদিও কাঞ্চন এবং শ্রীময়ী দুজনেই তাদের বিতর্কিত সম্পর্ক এড়িয়ে যান। শ্রীময়ী স্পষ্ট করে বলেন যে কাঞ্চন মল্লিক তার মেন্টর।
View this post on Instagram
অভিনেতা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, “‘বিধায়ক পদে জেতার পর মিষ্টির বাক্স হাতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম। পরের দিন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে পিঙ্কির আক্ষেপ, জাত অভিনেতার অপমৃত্যু হল! আমার জয়ে তার এই মন্তব্য? এর পরেই কিন্তু একাধিক দাবি-দাওয়ার ঝুলি খুলে বসে আমার স্ত্রী। প্রতি মাসে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাঁকে। চাকরিও করে দিতে হবে ছেলের আয়ার ভাইকে! এত দাবি মেটানো আমার পক্ষে সম্ভব? বিধায়ক হলেও আদতে আমি তো ছা-পোষা অভিনেতা।”