শিল্পীদের কাছে তার জীবনের সবথেকে বড় সম্মান হল অস্কার। আর অস্কার একজনের এমনি এমনি প্রাপ্ত হয় না। যার জন্য শিল্পীর দক্ষতাই আসল। এবছরে সম্পন্ন হয়ে গেল ৯৩ তম অস্কার অনুষ্ঠান পর্ব। এখানে ‘ইন মেমোরিয়াম’ বিভাগে বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ জানানো হল প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান ও অস্কার জয়ী কস্টিউম ডিজাইনার ভানু আথাইয়াকে। প্রতি বছর এই বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয় বিশেষ সম্মান।
এই মঞ্চেই সম্মান জানানোর জন্য আসেন মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট। এদিন এই মঞ্চেই সম্মান জানানো হয় ইরফান খান ও ভানু আথাইয়াকে। একটি বিশেষ প্রেজেন্টেশন ফুটিয়ে তোলা হয় এই মঞ্চে। ঋষি কাপুর, ইরফান খান সহ অন্যান্য শিল্পীদের ছবি ফুটে ওঠে ওই পর্দায়। কিন্তু, হায়রে বাঙালী, ঠাঁই হয়নি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কোনও ছবি।ইরফান খান, ঋষি কাপুর, সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো প্রয়াত তারকাদের পাশাপাশি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানায় অ্যাকাডেমি। কিন্তু দুঃখ একটাই বাঙালি হওয়ার কারণে সেই মঞ্চে ছবিতে ঠাই হল না বাঙালির।
কিন্তু ছবি ঠাই পায়নি তো কি হয়েছে। এতেই খুশি পৌলোমী। সৌমিত্র চট্ট্যোপাধ্যায়ের মেয়ে পৌলোমী এদিন অস্কার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলে,”বাবা কোনওদিনও পুরস্কারের প্রতি মোহ দেখাননি। কখনও সম্মান নিয়ে মাথা ঘামাননি। তবে তাঁর কাজের জন্য এতবড় আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাঁকে সম্মানিত করা হচ্ছে দেখে আমি খুশি। আশা করব বাবাকে তাঁর কাজের মধ্যে দিয়ে এভাবেই সকলে মনে রাখবেন।”
বাঙালি একজন কিংবদন্তি অভিনেতা হলেন সৌমিত্র চট্ট্যোপাধ্যায়। বাংলা শিল্পীজগতে সৌমিত্র চট্ট্যোপাধ্যায়য়ের অবদান বিশাল। বহু বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা সৌমিত্র। কিন্তু গত ববহর নভেম্বভর মাসে তিনি ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে চিরকালের জন্য পরলোকগমন করেন। তার মৃত্যুতে শোকাহত হয় গোটা শিল্পী মহল। অভিনবেতার মৃত্যুর চারমাস পর মৃত্যু হয় সৌমিত্রর স্ত্রী সৌমিত্র-জায়া দীপা চট্টোপাধ্যায়। করোনা আক্রান্ত হন সৌমিত্র। অসম্ভব লড়াই করেও মৃত্যুকে বরণ করে নেন। বাবার পর পৌলমী বসু তার মাকে হারান। পরিবার সূত্রে জানা যায় যে অভিনেতার পত্নী শেষ অবধি কিডনি বিকল হয়েছিল মৃত্যুকালে। হারিয়ে ফেলেছে বাঙালি কিংবদন্তি অভিনেতাকে।
