‘খড়কুটো’ ধারাবাহিক অনুকরণ করছে ‘মিঠাই’, ঘটনার সত্যতা নিয়ে উঠছে নানারকম জল্পনা!
মানুষ বিনোদনের জন্য বর্তমানে টেলিভিশনের সামনে বসে পড়েন সকলে। সন্ধ্যাবেলা টিভির সামনে বসে সিরিয়াল দেখার মজাই আলাদা। তার সাথে বাড়ির মা কাকিমার সিরিয়াল দেখতে দেখতে নানারকম গল্প জুড়ে দেয়। পাশাপাশি বহু মানুষেরই বর্তমান টেলিভিশন থেকে ওনেকটা দূরেই থাকেন কারণ সকলেরই হাতে রয়েছে মোবাইল ফোন। সিরিয়ালে সংসারিক কূটকচালি থেকে, রোম্যান্স, আত্মজীবনী মূলক, নানান স্বাদের গল্পের পর্ব থাকে একেকটা সময়ে। যারা ঘরের কাজ সারাদিন করেন, তাদের কাছে বিকেল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বিনোদনের টাইম।
বর্তমান ধারাবাহিকের যুগে ষ্টার জলসা আর জী বাংলা সকলের প্রিয় একটি ধারাবাহিক চ্যানেল। এই দুই চ্যানেলের মধ্যে আজকের নয় ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে লড়াই। সেরকমই দর্শকদের বিচারে এই মুহূর্তে সেরা ধারাবাহিক যাচ্ছে ‘মিঠাই’। দর্শকরা মোদক পরিবারের গল্প পছন্দ করছে। আবার সমালোচনাও করছেন কেউ কেউ। কারোর কারোর মত যে এই মিঠাই ধারাবাহিক স্টার জলসার খড়কুটো ধারাবাহিকের নকল। কিন্তু বাস্তবে কি এটাই সত্যি?
এইসব নানারকম ঘটনা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মিঠাই ধারাবাহিকের পরিচালক ও গল্পের নায়িকা সৌমিতৃষা কুণ্ডু এই ব্যাপারে মোক্ষম জবাব দিলেন। প্রথমেই আসি পরিচালকের কথায়। ‘স্লট লিডার’ মিঠাই এর প্রসঙ্গে পরিচালক রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস জানান যে ‘খড়কুটো’ দেখে মিঠাই তৈরি হয়েছে— এই কথাটি তিনিও একাধিকবার শুনেছেন। কেন এ কথা উঠছে তিনি নিজেও জানেন না। একমাত্র দাম্পত্য খুনসুটি ছাড়া তিনি এর মধ্যে কোনও মিল খুঁজে পাননি। তার দাবি ‘মিঠাই’-এর মধ্যে সেরা হওয়ার আরও অনেক উপাদান আছে। এই ধারাবাহিকের মধ্যে আছে পারিবারিক গল্প, প্রেম,দুই বিপরীত মেরুর মানুষের বিয়ে।
তার পাশাপাশি ধারাবাহিকের ‘মিঠাই’ জানিয়েছেন যে তিনি নিজেও পরিচালকের কথায় বিশ্বাসী, এবং তিনি জানান যে ‘মোহর’ আর ‘মিঠাই’-এর সম্প্রচারণ সময় এক ছিল। তাই একটা সময় পর্যন্ত ‘মোহর’ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। তিনি আরো বলেছেন যে একই গল্প ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরিবেশন করা হয়।