কৃষক আন্দোলন নিয়ে দিলজিৎ ও প্রিয়াঙ্কাকে মুখের ওপর জবাব দিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত
এবারের নতুন বছরটা শুরু থেকেই ছিল অভিশপ্ত। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছিল গোটা দেশ। সেরকমই দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও উঠে সেচে বিভিন্ন ঝড়। দেশের কৃষি -ব্যবসা -বাণিজ্যে ধীরে ধীরে এখনো বইছে সেই পরিবর্তনের ঝড়।
২০২০ এমনই একটি অভিশপ্ত বছর যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেমন দুমড়ে মুচড়ে গেছে গোটা দেশ, তেমনই দেশের রাজনৈতিক মঞ্চেও এসেছে নানান ঝড়। ব্যবসা বাণিজ্য থেকে কৃষি সব কিছুর মধ্যে এক বিরাট পরিবর্তন ও বিবর্তনের ঝড় বয়ে গেছে। এখনও সেই ঝড় থামেনি। ধিক ধিক করে দেশের আনাচে কানাচে আগুন জ্বলছে থেকে থেকেই।গত বছর যেমন NRC ও CAA নিয়ে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক ও আন্দোলন।
Our farmers are India’s Food Soldiers. Their fears need to be allayed. Their hopes need to be met. As a thriving democracy, we must ensure that this crises is resolved sooner than later. https://t.co/PDOD0AIeFv
— PRIYANKA (@priyankachopra) December 6, 2020
;
আর এবার ২০২০ র শেষের দিকে ভারত সরকারের আনা কৃষিবিল নিয়ে শুরু হয়েছে ফের আন্দোলন। টানা ৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাস্তায় প্রচন্ড শীতে ভারত সরকারের পাশ করা নতুন কৃষিবিলের প্রতিবাদ করছে তারা। কৃষকদের সমর্থনে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন বলিউডের একাংশ যেমন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ভারতের কৃষকদের খাদ্যসেনা উপাধি দিয়ে বলেন ‘‘কৃষকরা খাদ্য-সেনা। তাঁদের সমস্যা শুনতে হবে। তাঁদের দাবি মেটাতে হবে। খুব দেরি হওয়ার আগেই এই বিষয়টির সমাধান করা উচিত। তাতেই রক্ষা হবে গণতন্ত্র’।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সেই কথা বলার পরেই নেটিজেনদের একাংশ তাকে নিয়ে ট্রল শুরু করেন। অপরদিকে জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক দিলজিৎ কৃষকদের সাথে থেকেই যোগ দিয়েছেন আন্দোলনে। আর এবার লোকসভায় পাশ হওয়া কৃষিবিল নিয়ে আবার মুখ খুললেন বলিউড কুইন কঙ্গনা রানাওয়াত।
View this post on Instagram
তিনি তার প্রকাশ করা ভিডিওতে বলেন ‘“আমার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বার বার। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ও দিলজিৎ দোশাঞ্জের মতো মানুষের দিকে আঙুল তোলা হয় না কেন? আমি চাই, তাঁদের উদ্দেশ্য ও নীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হোক এ বার। জয় হিন্দ!” এখানেই থেমে থাকেননি কুইন কঙ্গনা। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন জনগনের উদ্দেশ্যে, তাঁর প্রশ্ন ও দাবী, “আমি বলেছিলাম, যখন কৃষক আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য সামনে আসবে। আমি আবার এবিষয়ে মুখ খুলবো। ঠিক যেমনটা শাহিনবাগের ক্ষেত্রে হয়েছিল। গত ১০-১২ ধরে নেটদুনিয়ায় আমি যেভাবে ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছি, তাতে আমার অধিকার আছে আমি দেশের মানুষের কাছে কিছু প্রশ্ন করি। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সবকিছু পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তাই কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই যে এই আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। সন্ত্রাসবাদীরাও এই আন্দোলনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি পঞ্জাবে পড়াশোনা করেছি। ওখানেই বড় হয়েছি। আমি জানি পঞ্জাবের মানুষ কোনওদিনই দেশকে টুকরো করতে চান না। ওনারা খালিস্তান কোনওদিনই চাননি। গোটা দেশটাই ওনাদের। ওনারা দেশকে ভালোবাসেন। সন্ত্রাসবাদীদের আমার কিছুই বলার নেই, তবে সরল কৃষকরা কেন তাঁদের অঙ্গুলি হেলনে চলছেন কেন? এতেই আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।”