বিনোদন

‘সংসার করতে বড় ভালো লাগে’, ১২ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটিয়ে আবেগে ভাসলেন ‘রান্নাঘর’-এর সুদীপা

রান্নাঘর-এর রানী সুদীপা চ্যাটার্জী হঠাৎ ভাসলেন নস্টালজিয়ায়। নিজের জীবনের কিছু অসামান্য মুহূর্ত সামনে নিয়ে আসলেন তিনি। হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠলো সুদীপার মধুমাসের অদেখা ছবি।ভারী বর্ষায় বিয়ে করেছিলেন তিনি। এদিকে এখনও বর্ষার প্রবেশ হয়নি, অথচ সুদীপের মনে এখন জল থৈ থৈ করছে। পুরোনো প্রেম যেন আবার চাঙ্গা হয়ে উঠলো সুদীপার জীবনে। সুদীপা তার মিষ্টি হাসি আর রান্নাঘর-এর মাধ্যমে বাংলার প্রত্যেকটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন।

জি বাংলা রান্নাঘরের রানী সুদিপা চট্ট্যোপাধ্যায় টলিউডের একজন অন্যতম পরিচত মুখ। ২০১৫ সাল থেকেই পরিচালক অগ্নিদেব চট্ট্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি আইনি ভাবে বিয়ে করে নেন। অবশ্য অনেকদিনের সম্পর্ক তাদের। ২০০৮ থেকে শুরু হয় সম্পর্কের। সেই বছরই অগ্নিদেব এর বাড়ি যান প্রথম সুদিপা। গিয়ে সেখানে নরক পোষ্য কুকুর দেখে আনন্দে আত্ত্বহারা হয়ে যান সুদীপা। ব্যাস সেদিন থেকেই সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে থাকার। শুরু হয় লিভ ইন সম্পর্ক।

রান্নার কথা বলতে গেলে ,সুদীপা স্বীকার করেছেন যে বংশীদার হাত থেকে তার রান্না শেখা। কিন্তু কে এই বংশীদা ?মহানায়ক উত্তম কুমারের সমস্ত পছন্দের রান্না যখন সুপ্রিয়া দেবী অর্থাৎ রেনুদি করতেন তখন এই বংশীদা নাকি সমস্ত কাজ সামলে দিতেন। সেখান থেকেই জি বাংলার রান্নাঘরের রানী সুদিপার হাতেখড়ি। অগ্নিদেবকে খুব স্নেহ করতেন রেনুদি। সেই থেকেই শেখা যেমন রান্না করা তেমনি সংসার করা। ধৈর্য ধরে নাকি সংসার করতে হয়। এই শিক্ষা নিয়েই এখনো পরিচালক অগ্নিদেবের সঙ্গে চুটিয়ে সংসার করছেন সুদীপা।

দেখতে দেখতেই দাম্পত্য জীবনের ১২ বছর কাটিয়ে আবেগে ভাসলেন সুদীপা। বন্ধুত্ব, প্রেম, বিয়ে, সন্তান… একটা লম্বা সময়। ১২ বছর পূর্ণ করে সুদীপা বলছেন, সংসার করতে তাঁর বড় ভাল লাগে। শেয়ার করছেন অজানা কথা। এদিন সুদীপা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়..,ঠিক তখনই উপলব্ধি হলো- ১২’টা বছর পার করে দিলুম একসাথে। ঝগড়া-মান-অভিমান-রাগ-অনুরাগ কোনোটাই বাদ যায়নি,কিন্তু এর কোনোটাই আমাদের একে অপরের থেকে দুরে সরাতে পারেনি আজও। বেড়াতে যাওয়া ছাড়া- একটা দিনও আমি এ-বাড়ী ছেড়ে থাকিনি,বা থাকতে পারিনি। সংসার করতে আমার বড় ভালো লাগে।”

তবু, চারিদিকের দিকে তাকিয়ে,কোনো crlebration’er ইচ্ছে আর নেই। শুধু বলতে ইচ্ছে করছে-

“মেঘলাদিনে,দুপুরবেলা যেই পড়েছে মনে,
চিরকালীন ভালবাসার বাঘ বেরোলো বনে।
আমি দেখতে পেলাম,কাছে গেলাম,মুখে বললাম খা
আঁখির আঠায় জড়িয়েছে বাঘ/ নড়ে বসছে না।”

Back to top button