সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘মিশন ত্রিপুরা’-র অন্যতম মুখ। তাঁর গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে, তিনি মন দিয়ে রাজনীতি করতে চান। সম্প্রতি ত্রিপুরায় গ্রেফতার হওয়ার পর ছাড়া পেয়েই সায়নীর প্রথম প্রতিক্রিয়া, তাঁকে দমানো যাবে না।
সোমবার বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ সায়নীকে আগরতলা আদালতে তোলা হয়। আদালত সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পুলিশ সায়নীকে দুই দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল। কিন্তু শুনানির পর বিচারক সেই আবেদন খারিজ করে দেন। সায়নীর জামিন মঞ্জুর হয়। জামিনে মুক্ত হয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে সায়নী বলেন, সত্যের জয় হল। আদালতের প্রতি তাঁর বিশ্বাস ছিল। মিথ্যা মামলা করে তাঁকে দমানো যাবে না। তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে শারীরিক ভাবেও হেনস্থা করা হয়েছে। রাতে তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন সায়নী। এরপর তাঁকে অন্য একটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সায়নী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-র সঙ্গে তাঁর রাতেই কথা হয়ে গিয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তাঁকে যেভাবে সাহায্য করেছেন, তা চিরকাল মনে রাখবেন সায়নী। ত্রিপুরার দলীয় কর্মীরাও তাঁর জন্য লড়াই করেছেন বলে জানালেন তিনি। এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নন সায়নী।
সায়নীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। রবিবার পুলিশ জানিয়েছিল, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Dev)-এর সভার পাশ দিয়ে জোরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সায়নী। সেই সময় তাঁর গাড়ি এক পথচারীকে ধাক্কা মারে। এছাড়াও সায়নীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশ। থানায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়। সায়নীর গ্রেফতারের পর ত্রিপুরা তথা দেশের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই মুহূর্তে অভিষেক ত্রিপুরায় রয়েছেন। সায়নীর গ্রেফতারি নিয়ে তিনি দীর্ঘ সাংবাদিক বৈঠক করেছেন।