অবশেষে কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে ফিরলেন ছেলের কাছে, জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল দে
গত বছরের তুলনায় করোনা যেন আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। মানুষকে বর্তমান নানান সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রত্যেকদিন ভারতবর্ষে লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। প্রত্যেকদিন বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন করোনায়। অক্সিজেনের অভাব দেখা দিচ্ছে মানুষের মধ্যে। এরই মধ্যে করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়েছে কড়া পদক্ষেপ। পশ্চিমবঙ্গে ঘোষিত হয়েছে 30 শে মে অবধি লকডাউন। বলিউড টলিউড সমস্ত জায়গাতেই করোনা আঘাত হানছে।
অভিনেত্রী অনামিকা করোনার সাথে লড়াই করে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে বাংলার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন করোনার সাথে। এবার অভিনেত্রী পায়েল দে বেরিয়ে এলেন হোম আইসোলেশন থেকে। অভিনেত্রী কিন্তু মোটেই করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। তার স্বামী দ্বৈপায়ন আক্রান্ত ছিলেন করোনায়। আর তাই অভিনেত্রী নিজে আর রিস্ক নেননি। কারণ তাঁর ঘরে রয়েছে তাঁদের একমাত্র পুত্রসন্তান মেরাখ। ছেলেকে সুস্থ রাখার জন্য পায়েল নিজেকে আলাদা ফ্ল্যাটে আইসোলেশনে রেখেছিলেন। একই ফ্ল্যাটে আলাদা ঘরে ছিলেন দ্বৈপায়ন। মেরাখ ছিল তার দাদু-ঠাকুমার কাছে। কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে ১৬ ই মে অভিনেত্রী বেরিয়ে এসে ছেলেকে জড়িয়ে ধরলেন।
কোয়ারেন্টাইন পর্বে থাকাকালীন ছেলেকে কাছে পাননি অভিনেত্রী তাই এবার বেরিয়ে আসার পরেই ছেলেকে নিয়ে আদর করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী তবে মা ও ছেলের এই ১৫ দিনের বিরতির পরে মিলন পর্ব রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অভিনেত্রী যখন মায়ের কাছে ফিরে আসে তখন ছেলের চোখে ঘুম ঘুম ভাব ছিল। ঘুমের চোখে মা যে সত্যিই সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন তা বুঝতে পারেনি মেরাখ। কারণ পয়লা মে থেকে এতদিন ভিডিও কলেই মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে সে।
অবশ্য মেরাখ অর্থাৎ পায়েলের আদরের গোগোল সুস্থ আছে, এটাই তার মায়ের শান্তি। এতদিন সে মায়ের থেকে দূরে ছিল তাই মা কে কাছে পেয়ে মেরাখের চোখদুটো গোল্লা হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন পায়েল।এদিকে পায়েলের স্বামী দ্বৈপায়ন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। খুব শীঘ্রই মিলিত হবেন পরিবারের সাথে। পাশাপাশি পায়েল তার পরিবারের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের পাশে থাকার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।