‘বাবা বেঁচে থাকলে শিল্পী হওয়াই হতো না’- এমনটা কেন বলেছিলেন লতা?
বাবা মারা গিয়েছিলেন বলেই লতা মঙ্গেশকরের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। এর জন্যই তিনি রোজগার করতে নেমেছিলেন। ছবিতে অভিনয় করলেন, গান গাইলেন। এরকম করতে করতেই ভারত তথা বিশ্ব একদিন পেয়ে গেল অসাধারণ প্রতিভাময়ী এক শিল্পীকে।
কিন্তু এই কিংবদন্তি গায়িকার স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায়, যদি তার বাবা বেঁচে থাকতেন তবে হয়তো আর পরবর্তী সময়ে শিল্পী হওয়াই হতো না!
খুব ছোট থেকে লতার জীবন ছিল কঠিন লড়াইয়ে ভরা। তার ছোটবেলাটা সুখকর ছিল না। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর মারা যাওয়ায় মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল। লতার পরিবারে তখন বিধবা মা আর ছোট ছোট ভাইবোন। তাদের দায়িত্ব এসে পড়ল ছোট্ট লতার ঘাড়ে।
সে সময় লতার একমাত্র শক্তি ছিল গান। কিন্তু রোজগারের পরিমাণ বাড়াতে গিয়ে তিনি ফিল্মেও ঢুকেছিলেন। যদিও আটটি ছবিতে কাজ করেও সাফল্যের মুখ দেখেননি তিনি। এমনকী তার জীবনের প্রথম গানও দিনের আলো দেখেনি। সেটি বাদ গিয়েছিল ছবি থেকে। জীবনের সেই প্রথম গানটি ছিল, ‘নাচু ইয়া গদে’। একটি মারাঠি ছবির জন্য গানটি গেয়েছিলেন তিনি।
লতার স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায়, তার বাবা এবং মা কেউই চাইতেন না যে, তাদের মেয়ে গানকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করুক বা গান গেয়ে রোজগার করুক। অথচ বাবার মৃত্যুর পর সেই গান গেয়েই গোটা পরিবারটাকে টেনে তুলেছেন।