‘সলমন আমায় ধোঁকা দিয়েছিল’, ভাইজানের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন প্রেমিকা
বলিউডের ভাইজান এখনো রয়েছেন ব্যাচেলর। তবে তিনি বিয়ে না করলেও তার সাথে জড়িয়ে আছে একাধিক নারীর নাম। তাই সালমান খানের প্রেমের খবর নিয়ে উত্তাল থাকে বলিউড দুনিয়া। আর তাদের মধ্যেই অন্যতম একজন নায়িকা হলেন সমি আলী। যদিও তাকে রুপালি পর্দায় দেখা যায়নি বেশিদিন। তবে সালমান খানের সাথে তার প্রেমের গুঞ্জন তাকে নিয়ে এসেছে বিনোদনের জগতের খবরের শিরোনামে। আর এবার আরও একবার দীর্ঘদিন পর তিনি সালমানের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন। জানালেন যে তার আর সালমানের মধ্যে সম্পর্ক চলাকালীন সালমান খান তাকে ধোকা দিয়েছিলো।
সম্প্রতি এক বিনোদন মূলক সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে সোমি জানিয়েছেন সংগীত বিজলানি ও সালমান খানের মধ্যে থাকা প্রেমের সম্পর্কর বিষয়ে। তিনি জানান যে তার জন্যই সালমানের সাথে সংগীতার ব্রেকাপ হয়ে যায়। তবে যেহেতু তার সেই সময় বয়স খুব কমছিল তাই তিনি কিছু বুঝে উঠতে পারেননি সেই সময়। বরং পরবর্তী সময়ে তিনি বুঝে যান সবকিছু।
সোমি আলীর কথায়”আমি প্রায়ই দেখতাম সংগীতা এসেছেন সলমনের বাড়িতে। দেখলেই আমি রেগে যেতাম। সেই সময় আমি সলমনকে বিয়ে করার জন্য পাগল। প্রায় এক বছর পরে আমরা ডেট করা শুরু করি। ও আমার জন্যই সংগীতার সঙ্গে ব্রেক আপ করেছিল। এটা অন্যায় হয়েছিল। কিন্তু আমার বয়স তখন খুবই কম ছিল বলে এত কিছু ভেবে দেখিনি।রিলেশনশিপ চলতে চলতেই সলমন খান আমাকে ধোঁকা দেয়। এরপরই আমি ব্রেক আপ করি ওর সঙ্গে।”
সোমি আরও জানিয়েছেন যে তিনি বলিউডে নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাননি বরং সালমানের কাছাকাছি থাকার জন্যই তিনি বলিউডে পা রেখেছিলেন। তবে এই প্রথমবার নয় এর আগেও সালমানের এই প্রাক্তন প্রেমিকা তাদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। এর আগেও তিনি জানিয়েছিলেন যে বলিউড সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রায়ের কারণেই তাদের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরে। তার কথায় ”আমি আর সলমন একসঙ্গে সুন্দর সময় কাটাচ্ছিলাম। সেই সময়ই ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর শুটিং শুরু হয়। ওই ছবির সূত্রেই প্রথম বার ওদের দু’জনের দেখা হয়েছিল। ছবির কাজ শেষ হতে না হতেই ওরা ডেট করতে শুরু করে দিল।”
এরপর সমীর কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি কি এখন কোনও যোগাযোগ রেখেছেন তার প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে ?তার জবাবে সোমি বলেন ”নাহ। বহু বছর হয়ে গেল সলমনের সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। আমি মনে করি এটাই ঠিক। তবে ওর মায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ওঁকে আমি খুবই শ্রদ্ধা করি।”