বিনোদন

“সম্পর্ক না থাকলেও তিয়াসার জন্য চির কাল ভাল চাইব আমি” সেলিব্রিটি বউকে নিয়ে উদ্বিগ্ন তিয়াসার স্বামী

বর্তমানে সিরিয়াল শিবিরের অন্দরে গুঞ্জন চলছে তিয়াস রায়ের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। টলিউডের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায় সেলেব্রিটিদের মধ্যে নাকি প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ ও বিবাহ -বিচ্ছেদের খবর। আর এবার টলিউডের অন্দরে ছড়িয়ে পড়ছে গুঞ্জন যে তিয়াসা রায় ও তার স্বামী সাবান রায়ের মধ্যে থাকা দাম্পত্যের সম্পর্কে নাকি চিড় ধরেছে । তবে এই গুঞ্জনকে একদমই অস্বীকার করে জল্পনা বলে আখ্যা দিয়েছেন অভিনেত্রী তিয়াসা রায়। তবে এবার সেই সম্পর্কের বিষয় নিয়েই মুখ খুললেন স্বামী সাবান রায়।

সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিক স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সাবান তাদের দাম্পত্য সমস্যার বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন। টলিউডের অন্দরে এখন জোর গুঞ্জন যে একই পেশায় থেকে তিয়াসা সাবানের থেকে অর্জন করেছেন বেশি সাফল্য আর তারফলেই নাকি তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয়েছে মনবোমালিন্য। কিন্তু সাবান সেই তত্ব একেবারে খারিজ করে দিয়েছেন। পরিবর্তে তিনি জোর গলায় বলেন যে তিনি সবসময় তার স্ত্রীর ভালো চাইবেন।

সাবানের কথায় “তিয়াসার সঙ্গে কোনও দিন সে ভাবে সংসার ধর্ম পালন করতেই পারিনি। বিয়ের পর তিয়াসা কাজের জন্যই গোবরডাঙা থেকে টালিগঞ্জে আমার সঙ্গে থাকতে শুরু করে। আমি আগে থেকেই সেখানে থাকতাম‌। সেই ভাবে গুছিয়ে সংসার করতে পারিনি আমরা কারণ কাজের ধারাটাই এমন ছিল। এ রকমও হয়েছে, একই ছাদের তলায় থেকে প্রায় এক মাস একে অপরের মুখ দেখতে পাইনি। এক জন শ্যুটে বেরোতাম, অন্য জন শ্যুট থেকে বাড়ি ঢুকত। বা উল্টোটা”।

টলিউডে কান পাতলে শোনা যায় সাবান নাকি অনেকটাই ‘ডমিনেটিং’ ক্যাটাগরির ছেলে। তবে এই উপাধি খারিজ করে দিয়ে সাবান জানিয়েছেন যে তিনি মোটেও ওই পর্যায়ের মধ্যে পড়েন না। তিনি অকপটে বলেন “আমি নিয়মে থাকতে পছন্দ করি। যে সময়ে যেটা করা উচিত, সেটাই করি। তাই কখনও কখনও তিয়াসার কোনও কথায় রাজি না হওয়াটাকে ‘ডমিনেটিং’ বা ক্ষমতার প্রকাশ হিসেবে দেখতে পারে কেউ কেউ। তবে একটা ছেলে হিসেবে কম দুষ্টুমি করিনি ছোটবেলায়। কিন্তু আমার সামনে কেউ খারাপ কিছু করলে আমি প্রতিবাদ করি। এক কথায় বললে, আমি খুবই প্রতিবাদী ছেলে। সেটাকে কেউ ‘ডমিনেটিং’ বললে সেটা তাঁর ব্যাখ্যা”।

তিয়াসার সাথে তার সম্পর্কের সমস্যা নিয়ে যে খবর মাঝে মাঝে বের হয় এই সম্পর্কে সাবান বলেছেন “বিয়ে-এর পর শুরুর কয়েক দিনের মাথাতেই শুনতে পাই, আমাদের নাকি বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। কেবল ঝগড়া হয়েছিল সেই বার। তাতেই লোকে এই সব খবর রটিয়েছিল। কারওর যেন ঝগড়া হয় না। সম্প্রতিও বিচ্ছেদ নিয়ে চর্চা শুনছি। এত নেতিবাচক খবর ভাল লাগে না। কিছু যায় আসে না, এমন কথাও জোর দিয়ে আর বলতে পারব না আমি”

অভিনেতা তাই আশংকা করে বলেছেন “ ‘ডিভোর্স ডিভোর্স’ শুনতে শুনতে কোন দিন না সত্যি সত্যিই ‘ডিভোর্স’ হয়ে যায় আমাদের। প্রচুর মানুষ আমাদের খারাপ চায়। আর তাদের জন্যই বোধহয় আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। এই ভয়টা করে আমার। তবে ভবিষ্যতে কী হবে, তা কে বলতে পারে!” বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে যদি সত্যিই অদূর ভবিষ্যতে সেই অনভিপ্রেত ঘটনাটি ঘটে যায়, তাহলে ভবিষ্যতের জন্য তিয়াসার প্রতি তার বার্তা, “সম্পর্ক না থাকলেও তিয়াসার জন্য চির কাল ভাল চাইব আমি। সম্পর্ক যদি নষ্টও হয়, ওর কী ভাবে ভাল হয় সে দিকে সারা জীবন খেয়াল রাখব”।

Back to top button