বিয়ের পরেও পাননি যোগ্য সম্মান, সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়ে দেয় জয়া প্রদার বাস্তব জীবনের কাহিনী
বলিউডের আশির দশকে বহু অভিনেতা বা অভিনেত্রীরা অভিনয় করেছিলেন। সেই সময়ের বলিউডে এক অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন জয়া প্রদা। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি অভিনয় জগতে আসেন। তার বাবাও ছিলেন এক প্রযোজক। তাই তার রক্তে অভিনয় সবসময়েই ছিল। সেই সময় তিনি ৩০০ র বেশী ছবিতে অভিনয় করেন। তবে সেভাবে কোনোদিন সাফল্য পাননি তিনি। হিন্দী ছাড়াও তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লম ছবিতে রেখে গেছেন নিজের কাজের ছাপ। এখন অভিনেত্রীর বয়স ষাটের কাছাকাছি। কিন্তু জনপ্রিয়তা কোনোভাবেই কমেনি।
বলিউডে একসময় গুঞ্জন শোনা যায় আয়কর সংক্রান্ত কিছু সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। প্রযোজক শ্রীকান্ত নাহাটার সাহায্যে সেই সমস্যা থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। তারপরেই তাদের মধ্যে গাঢ় বন্ধুত্বের তৈরি হয়। সেই বন্ধুত্বই ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণতি পায়। কিন্তু প্রযোজক ছিলেন বিবাহিত এবং তিনি নিজের প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি।
View this post on Instagram
তারপরেও ১৯৮৯ সালে তিনি প্রযোজক শ্রীকান্ত-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের বিয়ে নিয়ে সেইসময় বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। বিয়ের পর নিজের ৩০বছরের অভিনয় জীবন থেকে সরে আসেন জয়া প্রদা। প্রযোজককের প্রথম পক্ষের তিন সন্তান থাকায় জয়া প্রদার মা হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তিনি মা হতে পারেননি। পাননি স্ত্রীর মর্যাদাও। পরে তিনি নিজের বোনের ছেলেকে দত্তক নেন এবং নিজের সন্তানের মতন মানুষ করেন।
তবে এখানেই শেষ নয়। অভিনয় জীবন থেকে বেরিয়ে এসে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। রাজনীতির ময়দানে নিজের নতুন জীবন শুরু করেন এই প্রবীণ অভিনেত্রী। লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাকে বিজেপির হয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করতেও দেখা যায়। এইভাবেই অভিনেত্রী হাজার প্রতিবন্ধকতার মাঝে থেমে না থেকে নিজেকে নতুন করে প্রতিষ্ঠা করে বহু মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। কথায় আছে না পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। অভিনেত্রীর বয়স বেড়ে গেলেও জনপ্রিয়তা কিন্তু কোনো অংশে কমেনি।