মধ্যে রাত্রিরে যখন সকলে গভীর নিদ্রায় তখনও জেগে সোনু ও তার টিম। করোনা রোগীদের সেবায় ২৪ ঘন্টায় তৎপর সোনু ও তার দল। মাঝ রাতে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতাল থেকে আসে ফোন সাথে সাথে তৎপর হয়ে ওই হাসপাতলে ১৫ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠিয়ে দেন সোনু ও তার দল। অক্সিজেন পেয়ে বেঁচে যান ২২ জন করোনা রোগী।
মঙ্গলবার গভীর রাতে সোনু সুদের দলের কাছে এক পুলিশ করতে ফোন করে জানান যে বেঙ্গালুরুর আরাক হাসপাতালে চলছে অক্সিজেন–সংকট! এমনকি ততক্ষন পর্যন্ত অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন দুজন করোনা রোগী। সেই খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়ে ওঠে সোনু ও তার দলের সদস্যরা।
আর এই প্রসঙ্গে সোনু বলেন “এই কঠিন পরিস্থিতিতে দেশবাসীর সহায়তার জন্য আমি এবং আমার টিম সব সময় প্রস্তুত। ইন্সপেক্টর সত্যনারায়ণের কাছ থেকে ফোন পেয়েই আমার টিম খবরটি যাচাই করে, তারপর যত দ্রুত সম্ভব কাজে লেগে পড়ে। সারা রাত ছোটাছুটি করে তারা হাসপাতালের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করে।‘গত রাতে যাঁরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমার টিমের প্রত্যেক সদস্য যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তাতে আমি ভীষণ খুশি। এভাবেই তারা পাশে থাকলে ভবিষ্যতে আরও বহু মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারব। বহু মানুষের প্রাণ বাঁচবে।’
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারী শুরু হওয়ার থেকেই সোনু সবসময়ের জন্য রয়েছেন মানুষের পাশে। আর এই কাজের জন্য তিনি বানিয়েছেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের সকলেই প্রতিনিয়ত মানুষকে সাহায্য করে চলেছে। দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সোনু ও তার দল করছে সঞ্জীবতী নামে এক বিশেষ প্রোগ্রামের প্রচার।