সাদা-কালো পর্দা থেকে রঙিন সেলুলয়েড, দিলীপ কুমারের যে ৬ টি গান রুপোলি পর্দায় তৈরি করেছে ম্যাজিক
সিনেমা জগতে একের পর এক প্রতিভাবান তারকার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে অভিনয় জগতে। কয়েকদিন আগেই চলে গেলেন অভিনেত্রী মন্দিরা বেদির স্বামী রাজু কোশল। এবারে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমার। তিনি ছয় দশকের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে মুম্বাইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক সমস্যার কারণে তাকে আইসিইউতেও রাখা হয়। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্তাহর উন্নতি হয়েছিল কিন্তু হঠাৎ নিভে গেল সেই প্রদীপ। আজ সকাল সাড়ে সাতটায় ৯৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ‘নয়া দৌড়’ এর অভিনেতা। তার সাথে সাথে শেষ হয়ে গেল একটা যুগ।
তার অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করতো। যেকোনো ধরণের চরিত্রে নিজেকে সমানভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন অভিনেতা দিলীপ কুমার। ‘জোয়ার ভাটা’ দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করা এই অভিনেতা দীর্ঘদিন সুপারস্টার তকমা নিয়ে মুম্বাই ফিল্ম জগতে রাজ করেছেন। অভিনেতার স্ত্রী হিসেবে তার পাশে সবসময় চিলি বিনোদন জগতের সাথেই যুক্ত অভিনেত্রী সায়রা বানুকে। এবার স্বামীর মৃত্যুতে ক্রমশ ভেঙে পড়েছেন তিনি।
অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তার ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পুরস্কার।তার সিনেমার গান গুলি যেন আজও জায়গা করে রয়েছে দর্শকদের মনে । চলুন ফিরে দেখি দিলীপ কুমারের বর্ণময় কেরিয়ারের কিছু সেরা গান।
১-ইয়ে দেশ হ্যায় বীর জাওয়ানো কা, নয়া দৌর (১৯৫৭)
২-উড়ে জব জব জুলফে তেরি , নয়া দৌর (১৯৫৭)
এই গানের দৃশ্যায়ণে দিলীপ কুমারে এক্সপ্রেশন সত্যি মুগ্ধ করে। ওপি নায়ারের কম্পোজিশনে সাজানো এই গান গেয়েছেন মহম্মদ রফি ও আশা ভোঁসলে।
৩-মধুবন মে রাধিকা নাচে, কোহিনূর (১৯৬০)
শাকিল বদাউনির লেখা কোহিনূর ছবির এই গান যেন সত্যি মানুষের মনে আজও গেথে আছে।
৪-নয়ন লড় জায়েঁ হেঁ (গঙ্গা যমুনা, ১৯৬১)
দিলীপ কুমারের এই গানের সাবলীল এক্সপ্রেশন দেখলে যেন আজও হাসি ফুটে ওঠে দর্শকদের মুখে। খুবই হিট হয়েছিল অভিনেতার এই গানটি।
৫-শালা মেয় তো সাব বনগায়া (গোপি, ১৯৭৩)
৬-ইমলি কা বুটা (সওদাগার, ১৯৯১)
লক্ষ্মীকান্ত প্যায়ারেলাল-এর সুরে সাজানো মহম্মদ আজিজের গাওয়া এই গানের দৃশ্যায়ণে ধরা দিয়েছেন দিলীপ কুমার ও রাজ কুমার।