বাংলায় জন্মে কলকাতা-মুম্বাই-মাদ্রাজ -এর মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আধিপত্য করছে সুমিত নন্দী, তবে অন্যভাবে
ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি তার ভালোবাসা কলেজ শেষ করেই শুরু পথ চলা. তবে একজন সিঙ্গার হিসেবে নয় রেকর্ডিস্ট হিসেবে . হ্যাঁ আজকে আমরা মেইনস্ট্রিম জিনিস থেকে একটু দূরে গিয়েই কথা বলবো.আজ যার কথা বলবো কলকাতার মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে তার নামেই তাকে লোকে চেনে.প্রচন্ড পরিশ্রমী প্রচন্ড দক্ষ একজন মিক্সিং ইঞ্জিনিয়ার এই সময়ের সুমিত নন্দী.পথ চলা শুরু হয় দুই হাজার এগারো সালে সোনারপুর এ নিজের বাড়িতে একটা ছোট সেট আপ দিয়ে. বাবা কিনে দেয় একটা সাউন্ড কার্ড আর একটা স্পিকার।
ওই সময় থেকেই রেকর্ডিং এর প্রতি ভালোবাসা তাকে আটকে রাখতে পারেনি। শুরু হয় কলকাতার কিছু ব্যান্ডের কাজ দিয়ে কখনো ফ্রী টি বার কখনো বা খুব কম পারিশ্রমিক নিয়ে। এইভাবে চলছিল জীবন, কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল একদিন তার কাজ সারা পৃথিবী শুনবে। ইন্ডিয়ার বড় বড় কাজ করবে. মুম্বাই আসতে হবে। তবে তা হয়ে উঠছিল না। নানা রকম বাধা বিপত্তি পেরিয়ে দুই হাজার উনিশ সালে মুম্বাই পারি।
এই সময়ের একজন জনপ্রিয় শিল্পীর ডাকে. ব্যাস তারপর যে জীবন ঘুরে গেল তেমনটা নয়। একটা প্রজেক্ট শেষ হবার পর আর অন্য কাজ ছিল না। এতবড় শহরে সারাদিন স্টুডিও স্টুডিও ঘুরে বেড়ানো নিজের সিভি নিয়ে. নিজের যোগ্যতা প্রমান করার জন্য. মুম্বাই শহরে উডস্টক স্টুডিওতে তিন মাসের জন্য একটা ফিল্মের মিক্সিং এর প্রজেক্ট পেয়ে তারপর একের পর এক কাজ আসতে থাকে।
]সম্প্রতি মারাঠী টিপস এর হয়ে একটি গান মিক্স করে সুমিত নন্দী। গানটি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মুম্বাই শহরে। এস ভি এফ মিউজিক এর একটি ওয়েব সিরিজ এর সম্প্রতি একটা গানের মিক্সিং দেখা গেছে সুমিতের নাম। সামনে অনেক পথ চলা বাকি. সামনে অনেক অনেক কাজ আসছে এমনটাই জানিয়েছে সুমিত।
এখন কলকাতা শহরে এবং মুম্বাইতে ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত নাম সুমিত নন্দী। সুমিত জানিয়েছে তার এই পথ চলার জন্য সে ধন্যবাদ দিতে চায় তার বাবা মাকে। তার বন্ধু সুদেষ্ণা,রিতেশ,সাগ্নিক,সুভাকর অর্ক কে . সুমিত জানিয়েছে ওরা আমার কাজে অনেক সাহায্য করেছে।সুমিত আরো জানিয়েছে সফলতার কোনো শর্টকাট থাকে না ।