Aryan Khan: পার্টিতে তো ছিলেন ১৩০০ জন, গ্রেফতার শুধু ১৭ জন? আদালতে ক্ষুব্ধ হলেন আরিয়ান
এই মুহূর্তে বিনোদন জগতের খবরের মধ্যে সবচেয়ে উপরে রয়েছে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের মাদক মামলা। আজ শুক্রবার আরিয়ান খানের জামিনের মামলার শুনানি সম্পন্ন হলো মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট কোর্টে। পাশাপাশি আজ ছিল শাহরুখ পত্নী গৌরী খানের জন্মদিন। তবে আজ গৌরির জন্মদিনেও কোর্ট থেকে মিললো না পুত্রের জামিন। সেই সাথে মঞ্জুর হয়নি আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদনও।
আজ আদালতে আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মনসীনদের যুক্তি মেনে নিলো না বিচারপতি। আজকের মামলায় এনসিবির হয়ে দলিল পেশ করেছেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, অনিল সিং।তিনি শুরু থেকেই জানিয়ে যেন যে এই আদালতে গ্রহণযোগ্য নয় আরিয়ান খানের জামিন নেওয়ার আবেদন। সেই সাথে তিনি আরমান কোহলির মামলার উল্ল্রেখ করে বলেন যে আরিয়ানের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার না হলেও বাকিদের কাছ থেকেই কমার্শিয়াল কোয়ান্টিটির মাদক উদ্ধার হয়েছে।
তাই মেজিস্ট্রেট এই মামলায় অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিরই জামিন মঞ্জুর কোর্টে পারে না। টানা ৫ ঘন্টা ধরে বিভিন্ন সওয়াল ও জবাব শেষে আদালত এনসিবির পেশ করা দলিল মেনে নেয়। এবং আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে আরিয়ান খানের জামিনের আবেদন জানাতে হবে বিশেষ এনডিপিএস আদালতে আর সেখানেই নির্ধারিত করা হবে আরিয়ান জামিন পাবে কি না।
ওপরদিকে আরিয়ানের আইনজীবীর যুক্তি ছিল আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি, শুধুমাত্র তার বিরুধ্যে রয়েছে মাদক সেবনের অভিযোগ। আর যে হোয়াটসআপ চ্যাটের কথা পুলিশ জানাচ্ছে তা হলো ফুটবল সংক্রান্ত। এদিন আরিয়ান নিজের আইনজীবী মারফত কোর্টকে জানিয়েছেন ‘আমি ২৩ বছর বয়সী একটা ছেলে, আমার কোনও ক্রিমিন্যাল রেকর্ড নেই। আমাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ড্রাগস নিতে বলা হলে আমি অস্বীকার করেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আর কোনও অভিযোগ নেই। আমার ফোনের সমস্ত ডেটা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে’।
ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন এমন ইঙ্গিত দিয়ে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান আদালতে সবার সামনে বলেন, ‘পার্টিতে ১৩০০ লোক ছিল। অথচ বেছে বেছে তাদের মতো ১৭ জনকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো?’
সেই সাথে তিনি আশ্বাস দেন যে মামলা চলাকালীন দেশ থেকে তিনি পালাবেন না ও ক্ষমতা শালী পিতার পুত্র হিসেবে কোনো তথ্য প্রমান লোপাটের চেষ্টাও তিনি করবেন না।কিন্তু গ্রহণযোগ্যতা না থাকার কারণেই এদিন আরিয়ানের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়।