বিনোদন

আর নয় অন্যায়, রুখে দাঁড়ালো পূর্ণা! গগন মাখালকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য ভোট দাঁড়ালো ‘খেলাঘর’-এর পূর্ণা

ধারাবাহিক বর্তমান মানুষের জীবনের একটি পার্ট হয়ে উঠেছে। সকলেরই প্রিয় ধারাবাহিক দেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন যে কখন নিজের পছন্দের ধারাবাহিক অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধের পরে শুরু হয়ে যায় একের পর এক ধারাবাহিক। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকা দর্শকদের মনে স্বস্তি আসে ধারাবাহিক শুরু হয়ে গেলেই। ষ্টার জলসায় একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘খেলাঘর’। ধারাবাহিকটিতে উঁচু নিচু বংশের একটি বর্ণবৈষম্য থেকেই গেছে। শান্টু একজন রাজনৈতিক দলের নেতা আর পূর্ণা শহরের বড়োলোক বাবার মেয়ে। ঘটনাচক্রে তাদের বিয়ে হয়ে যায়।

পূর্ণার বাড়ি থেকে তার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঘটনাক্রমে শান্তির সাথে দেখা হয় এবং শান্টু পূর্ণার কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। প্রথমবার দেখাতেই বিয়ে যা কোনোদিন ভাবেননি পূর্ণা। বিয়ের পর শান্তুর সাথেই সংসার করতে চলে আসে এক্কেবারে বস্তিতে। সংসার করার সময় পূর্ণা শপথ নেয় সান্টুকে সে ভালো করবেই। এই নিয়েই চলতে থাকে নানারকম ঝামেলা। পূর্ণার বাবা কোনোভাবেই মানেন না বিষয়টাকে।

এই ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন শান্টুর চরিত্রে সইদ আরেফিন। খুব কম সময়ের মধ্যেই ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে জনপ্রিয়। টিআরপিতেও জায়গা করে নিয়েছে। এর আগে ইরাবতির চুপকথা সিরিয়ালে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। পূর্ণার চরিত্রে অভিনয় করছেন স্বীকৃতি মজুমদার। পূর্ণা ও শান্টুর এইভাবে বিয়ে হওয়াতা তাদের পরিবার না মানলেও পরে পূর্ণার ভালোবাসা দেখে মেনে নেয়। শান্টু একসময় একজন ভালো স্টুডেন্ট ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সে হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক গুন্ডা। কিন্তু পূর্ণার ভালোবাসা তাকে পাল্টে দিয়েছে।

বাস্তবে একটা কথা আছে কারো ভালো কেউ সহ্য করতে পারে না। তাই সান্টুর ধীরে ধীরে এই পাল্টে যাওয়াটা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। রাজনৈতিক মহলের নেতারা চায় যে সান্টুকে চক্রান্ত করে সরিয়ে আনতে। কিন্তু পূর্ণা তা একেবারেই হতে দেবে না। তাই এবার সে নিজেই লড়বে ভোটে। ধারাবাহিকের নতুন প্রোমোতে দেখানো হচ্ছে, সমাজ বিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠেছে এই বস্তি। এবার এদের উৎখাত করার পালা।আর ঠিক তখনই পূর্ণা স্টেজে উঠে মুখোমুখি হয়ে বলেন,”আপনাদের উৎখাত করবো আমি। প্রয়োজন হলে আমি ভোটে দাঁড়াবো।” এবার গল্পে আসছে টুইস্ট। তাহলে কি এবারে পূর্ণা জিততে পারবে ভোটে?

Back to top button