বিনোদন

যার নৃত্য কৌশলে পাগল সকল ভারতবাসী, অভিনেত্রী হেমা মালিনীর যৌবনের সৌন্দর্য যা মুগ্ধ করবে আপনাকেও

যিনি নৃত্যে অসাধারণ পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। সেরা নৃত্যশিল্পীর তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছেন অভিনেত্রী হেমা মালিনী। যিনি ছোটবেলা থেকেই নাচ প্র্যাকটিস করতেন কেবল তিনি ই জানেন যে নাচের মধ্যে দিয়েই শরীরচর্চানা আনন্দ রাগ দুঃখ সকল প্রকার ভাবের বহুপ্রকাশ করা সম্ভব। সমস্ত মনের ভাবই প্রকাশ করা যায় নাচের মধ্যে দিয়ে।
“কি আনন্দ, কি আনন্দ, কি আনন্দ
দিবারাত্রি নাচে মুক্তি নাচে বন্ধ –”

বলিউডে ৮০-এর দশকে কয়েকজন সেরা অভিনেত্রী ছিলেন। যারা অভিনয়েও ছিলেন বেশ দক্ষ আর নাচের দিক থেকেও তাদের পারদর্শিতা ছিল মুগ্ধ করার মত। সেই সময়ের অভিনেত্রীদের মধ্যে ওয়াহিদ, হেলেন, মধুবালা এবং হেমা মালিনী। হেমা মালিনী শুধু রূপেই নয় তার গুনেও তিনি ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। ৭০-৮০ এর দশকের কিছু প্রভাবশালায় অভিনেতারাও মুগ্ধ ছিলেন তার রূপে। যদিও সকলের মুখের খাওয়ার একা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। এই জুটি হেমা আর ধর্মেন্দ্রর প্রেমের কাহিনী ছিল বেশ মজাদার।

১৯৮৬ সালে স্বপ্ন কে সওদাগর সিনেমার মাধ্যমের চলচ্চিত্রের মধ্যে প্রবেশ করেন তিনি। এ পর্যন্ত ১১ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হন। একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই অভিনেত্রী অভিনয় জগতে আসার স্বপ্ন দেখতেন। তামিল ভাষার চলচ্চিত্র দ্বারা শুরু করেছিলেন তার কর্মজীবন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিলো ইদু সাথিয়া যেটি ১৯৬২ সালে মুক্তি পেয়েছিলো। ১৯৬৮ সালে হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পের মহানায়ক রাজ কাপুর এর সঙ্গে হেমা অভিনীত চলচ্চিত্র স্বপ্ন কা সৌদাগর মুক্তি পায়। তিনি বলিউডের ড্রিম গার্ল। ২০০০ সালে অভিনেত্রী হেমা মালিনী পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেন।

অভিনেত্রী অভিনয় করলেও নাচই ছিল জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। ভারতীয় যেকোনো ধরণের নাচ তিনি করতে পারেন। অভিনেত্রীর পস্সিক্সহিম ঘরানারও কিছু নাচও জানা আছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল নাগাদ হেমা মালিনী বিশ্ব দরবারে ভারতীয় সংস্কৃতিকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। তার সংস্থা ‘সিনার্জি’র উদ্যোগে জর্জিয়ার শিল্পীদের সঙ্গে একটি ডান্স শো-এর আয়োজন করেন। তিনি ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যের সঙ্গে জর্জিয়ার ব্যালের মিশেলে নতুন ‘ডান্স ফর্ম’ মানুষকে আনন্দ দেবে বলে মনে করেছিলেন তিনি। ভারতনাট্যম, কত্থক, ওডিশি-র ফর্মের সঙ্গে ব্যালের যুগলবন্দি তৈরি করেছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর বয়স বেড়ে গেছে কিন্তু শিল্পের প্রতি ভালোবাসা একটুও কমেনি।

Back to top button